কারাগারে অসুস্থ ‘চিনাম্মা’, চান টেবিল ফ্যান-খাট-মাদুর
‘আম্মা’ হিসেবে পরিচিত ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম জয়ললিতার মৃত্যুর পর আলোচনায় আসেন শশীকলা নটরাজন। তামিলনাড়ুবাসীর কাছে তিনি ‘চিনাম্মা’ (ছোট আম্মা) হিসেবে পরিচিতি পান। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দ্বারপ্রান্তেও গিয়েছিলেন। কিন্তু একটি মামলায় চার বছর কারাদণ্ডাদেশ পেয়ে এখন তিনি কারাগারে। কোনো ডিভিশন না পাওয়া চিনাম্মাকে কাটাতে হচ্ছে আর ১০ জন বন্দিদের মতোই। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়া চিনাম্মা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে চেয়েছেন একটি টেবিল ফ্যান, খাট ও মাদুর।
অবৈধ সম্পত্তি অর্জনের মামলায় চিনাম্মাকে চার বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এর পর থেকে কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন তিনি।
তামিলনাড়ুর ক্ষমতাসীন দল এআইএডিএমকের কর্ণাটক রাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক ভি পুগাঝেন্দি বলেন, ‘চিনাম্মা ভালো আছেন। তবে একটু দুর্বল। তাঁর রক্তে শর্করার মাত্রা ও রক্তচাপ ঠিক আছে। তিনি কারাজীবনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি কিছু সুবিধা চেয়েছেন। আশা করি তাঁকে সেগুলো দেওয়া হবে।’
‘আমরা আশা করি কারাগার কর্তৃপক্ষ তাঁকে খাট, মাদুর, টেবিল ফ্যান ও কারাকক্ষের সঙ্গে সংযুক্ত শৌচগারের ব্যবস্থা নিয়ে বিবেচনা করবে। এতে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় কারাগারে তাঁকে স্থানান্তর করার আগ পর্যন্ত তিনি নিজের খেয়াল রাখতে পারবেন।’
এর আগে শশীকলা বাসায় রান্না করা খাবার, বিশুদ্ধ বোতলজাত পানি ও এয়ার কন্ডিশনার (এসি) চেয়ে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, শশীকলাকে কারাগারে কোনো বিশেষ বন্দির মর্যাদা দেওয়া হবে না। দুই নারী বন্দির সঙ্গেই থাকতে হবে তাঁকে। চিনাম্মাকে সপ্তাহে একবার আমিষ খাবার দেওয়া হবে। খেতে হবে জেলের খাবারই। পাশাপাশি রোজ ৫০ টাকা করে মজুরিও পাবেন তিনি। প্রয়োজনে তাঁর নিয়মিত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
জয়ললিতার মৃত্যুর পর তামিলনাড়ুতে রাজনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়। এআইএডিএমকে দলের ভার নেন শশীকলা। এর পরই তামিলনাড়ুর অস্থায়ী মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয় পন্নিরসেলভমকে। পন্নিরসেলভম পদত্যাগপত্র জমাও করেন। কিন্তু তার পরই আচমকা দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন তিনি। সেই বিদ্রোহের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপাল শশীকলা নটরাজনের নিয়োগ স্থগিত রাখে।