পাকিস্তানে মাতৃভাষা দিবস পালিত
১৯৫২ সাল ২১ ফেব্রুয়ারি। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা নিয়ে তৎকালীন শাসকদের একপেশে সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এদিন জীবন দেন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ অনেকেই। তাদের বুকের রক্তের বিনিময়ে বাংলা পায় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা। এর পর থেকে শহীদদের স্মরণে বাংলাদেশে পালন হয়ে আসছিল ২১ ফেব্রুয়ারি।
পরে ১৯৯৯ সালে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা দেয় জাতিসংঘ। ফলে বাংলাদেশের গণ্ডি পার হয়ে বিশ্ব অঙ্গনে মর্যাদার সঙ্গে পালিত হতে থাকে দিনটি। অন্যান্য দেশের সঙ্গে দিবসটি পালিত হয় ইতিহাসের পাতায় ওই দিনটির সঙ্গে জড়িত পাকিস্তানেও।
৬৫ থেকে ৭২টি ভাষার দেশ পাকিস্তান। মাতৃভাষাকে স্মরণ করে দেশটির করাচি, ইসলামাবাদ ও লাহোরের মতো শহরে ঘটা করেই পালন করা হয় ২১ ফেব্রুয়ারি।
মাতৃভাষা দিবস উদযাপনে সেখানে হচ্ছে সেমিনার। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অয়োজন করা হয়েছে আলোচনা সভার। এ ছাড়া কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রভাতফেরির আয়োজনও দেখা যায় বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন করাচির সাংবাদিক মনির আহমেদ।
মনির আহমেদ জানান, এ বছর ফেব্রুয়ারির ১৮ ও ১৯ তারিখে একটি সাহিত্য উৎসবও হয়েছে। কিন্তু কেন ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয় বা কী ঘটেছিল ১৯৫২ সালের সেই দিনটিতে, সে বিষয়ে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ ও ছাত্রছাত্রীদের স্বচ্ছ ধারণা নেই।
ওই সাংবাদিক আরো জানান, পাকিস্তানের পাঠ্যক্রমেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সম্পূর্ণ ইতিহাস নেই। শুধু ১৯৫২ সালে উর্দুর মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা এবং একটি ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে কিছু ধারণা রয়েছে তাদের।