স্বামীতে যে নারীর অ্যালার্জি!
পৃথিবীর সব স্বামী-স্ত্রীই চান, সঙ্গীকে পাশে নিয়ে পুরো জীবন কাটিয়ে দিতে। হাতে হাত রেখে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে। যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের জোহানা ওয়াটকিন বিয়ে করেও এভাবে ভাবতে পারছেন না।
২৯ বছর বয়সী এই নারী তাঁর স্বামীর কাছে গেলেই শুরু হয় এলার্জি। তিনি ‘ম্যাস্ট সেল অ্যাকটিভেশন সিনড্রোম’ রোগে আক্রান্ত। মানুষের ঘ্রাণ শুঁকলেই তাঁর অ্যালার্জি দেখা দেয়।
জোহানা তাঁর স্বামীকে চুমু খেতে কিংবা একসঙ্গে কক্ষে থাকতেও পারেন না। স্বামীর কাছে গেলেই এলার্জি দেখা দেয়। তাই স্বামীর থেকে দূরেই থাকতে হয়। এত কিছুর পরও চার বছর ধরে চলছে ওই দম্পতির সংসার।
২০১৩ সালে স্কুল শিক্ষক জোহানার বিয়ে হয় স্কট নামের একজনের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই তাঁরা কাছাকাছি হতে পারেন না। কিন্তু বিয়ে করার আগেও জোহানা আশা করেননি যে তাঁর অবস্থা এতটা খারাপ হবে।
জোহানা বলেন, ‘স্কট ও আমি এক সঙ্গে অনুষ্ঠান দেখার চেষ্টা করি। কিন্তু আমরা এক সঙ্গে কক্ষেও থাকতে পারি না। কারণ, তাঁর ওপর আমার এলার্জি।’
জোহানার স্বামী স্কট বলেন, ‘গত তিন-চার বছর আগে আমরা রোগ নির্ণয় করতে গিয়েছিলাম। ওই সময় আমি স্ত্রীর খুব কাছে গিয়েছিলাম, বিশেষ করে আমার মুখ যখন জোহানার মুখের কাছে নিয়ে যাই তখন সে কাশি দেওয়া শুরু করে।’
এত কিছুর পরও জীবন নিয়ে জোহানার মনে কোনো ক্ষোভ নেই। এই জীবনেও তিনি অনেকটাই খুশি। যদিও তাঁকে অনেক ধরনের খাবার থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে।