হাজার বছর আগে ভিনগ্রহীরা পৃথিবীতে এসেছিল। মানুষের সঙ্গেও সাক্ষাৎ ঘটেছিল তাদের। পুরোনো ধর্মীয় চিত্রকর্মের ওপর ভিত্তি করে এমন দাবি করছেন অনেকে।

অনেকের দাবি, কয়েক হাজার বছর পুরোনো বিভিন্ন চিত্রকর্মে ভিনগ্রহী আছে এমন কিছু চিহ্ন পাওয়া যায়। এসব চিহ্ন থেকে ধারণা করা হয়, প্রাচীন সভ্যতার মানুষ ভিনগ্রহীদের সংস্পর্শে এসেছিল।

তবে চিত্রকর্ম বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেকে চিত্রকর্মের বিভিন্ন চিহ্নের ভুল ব্যাখ্যা করছে।

বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্বেও দাবি করা হয়, প্রাচীন চিত্রকর্মের চিহ্ন অনুযায়ী ভিনগ্রহীরা মানব প্রজাতির কাছে এসেছিল। চিত্রকর্মে ভিনগ্রহী এবং তাদের মহাকাশযান (ইউএফও)।

যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইনে কয়েকটি বিখ্যাত চিত্রকর্ম এবং এতে ভিনগ্রহী ও তাদের মহাকাশের উপস্থিতি বিষয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের কথা বলা হয়েছে।

দি অ্যানুসিয়েশন উইথ সেইন্ট (১৪৮৬)

ইতালির শিল্পী কার্লো ক্রিভিল ১৪৮৬ সালে এই চিত্রকর্ম আঁকেন। ছবিটির বাম পাশে ওপরের দিকে ইউএফও দেখা যায় বলে দাবি অনেকের। তবে চিত্রকর্ম বিশেষজ্ঞদের দাবি, এগুলো অ্যাঞ্জেলদের জমা করে রাখা মেঘ।

উম নো চিরি (১৮৪৪)

পূর্ব জাপানের হিটাচি প্রদেশে ১৮০৩ সালে অদ্ভুত দর্শন একটি উড়ন্ত বস্তু দেখা যায়। হিটাচির জেলেরা সাগরের পানিতে বস্তুটি ভাসতে দেখেছিল। এমন একটি ছবির দেখা মেলে সমসাময়িক জাপানের এক চিত্রকর্মে।

গ্লোরিফিকেশন অব দি ইউচেরিস্ট (১৬০০)

সপ্তদশ শতাব্দীর এই চিত্রকর্মে রাশিয়ার স্পুটনিক কৃত্রিম উপগ্রহের মতো বস্তু দেখা যায়। তবে স্পুটনিক প্রথম তৈরি হয় এর ৩৫০ বছর পর, ১৯৫৭ সালে।

সেইন্ট ওলফগ্যাং অ্যান্ড দ্য ডেভিল (১৪৭৫)

অস্টিয়ান রেনেসাঁর পঞ্চদশ শতাব্দীর বিখ্যাত শিল্পী মাইকেল পিচারের এই চিত্রকর্মে এক দানবের দেখা মেলে। চিত্রকর্মের এই দানবকে ভিনগ্রহী বলে দাবি করেন অনেকে।