আইফোনের ঝলমলে ব্যাক কাভার থেকে সাবধান!
এখন শুধু সুরক্ষার জন্যই আইফোনের ব্যাক কাভার ব্যবহার করা হয়না, ফোনকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতেও এই পেছনের অতিরিক্ত জিনিসটি ব্যবহার করা হয়। তাই গ্রাহকরা এখন আইফোনের জন্য ঝলমলে ব্যাক কাভারের দিকে ঝুঁকছেন। সুরক্ষার সঙ্গে যদি আইফোনটাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলা যায়, তবে মন্দ কি? কিন্তু এই আকর্ষণীয়, ঝলমলে ব্যাক কাভারই ডেকে আনতে পারে আপনার সর্বনাশ। কারণ, গোটা বিশ্বে আইফোনের ঝলমলে ব্যাক কাভারের রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে শরীরের চামড়া পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে প্রায় ২৪টি।
ম্যাশেবলের খবরে জানা যায়, আইফোনের ব্যাক কাভারগুলোকে ঝলমলে করে রাখার জন্য এক ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। ব্যাক কাভারের ছিদ্র দিয়ে রাসায়নিক দ্রব্য বেরিয়ে পড়ছে, আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীর ত্বক। যুক্তরাষ্ট্রের কনজুমার প্রোডাক্ট অ্যান্ড সেফটি কমিশন (সিপিএসসি) জানায়, সারা পৃথিবীতে ব্যাক কাভারের রাসায়নিক দিয়ে চামড়া পুড়ে যাওয়ার ঘটনা প্রায় দুই ডজন।
টুইটারে জাস্টিন টিম্বারলাফ নামের এক ভুক্তভোগী লিখেছেন, ‘তখনই আপনি এর কষ্ট বুঝবেন, যখন আপনার আইফোনের ব্যাক কাভার থেকে রাসায়নিক বের হয়ে আপনার ত্বক পুড়ে যাবে।’ বিশ্ববাজারে ঝলমলে ব্যাক কাভারের প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম মিক্সবিন। যদিও ভিক্টোরিয়া’স সিক্রেট, টরি ব্রুচের মতো বেশ কিছু জনপ্রিয় ব্র্যান্ডেরও ব্যাক কাভার রয়েছে। সিপিএসের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ ৬৩ হাজার আইফোনের ঝলমলে ব্যাক কাভার বিক্রি হয়েছ।
সিপিএস আরো জানিয়েছে রাসায়নিক দ্রব্যের কারণে পুড়ে যাওয়া জায়গার দাগ চিরস্থায়ীভাবে থেকে যাচ্ছে। এ ছাড়া হাত, মুখ, পায়ের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্যও পেয়েছেন তাঁরা। দুর্ঘটনা এড়াতে তাই আইফোনের ঝলমলে ব্যাক কাভার ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।