‘আমার অ্যাকাউন্ট খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না’
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়া শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এক বার্তার মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছিল ফেসবুক। কিন্তু অনেক ব্যবহারকারীই জানতেন না ফেসবুকের ওই ঘোষণা। তাই হঠাৎ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ পেয়ে বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন তাঁরা। এ ছাড়া ঠিকঠাক থাকা সত্ত্বেও অনেকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সবকিছু ঠিক থাকার পরও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তিনি জানান, রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অফিসে গিয়েছিলেন আজ সকালে। অফিসে পৌঁছে কাজের ফাঁকে ফেসবুকে ঢুকতে যান তিনি। ভুলক্রমে প্রথমবার অন্য একটি পাসওয়ার্ড দেন। পরে সঠিক পাসওয়ার্ড দিলেও আর অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারেননি তিনি। অন্য অ্যাকাউন্ট থেকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি তাঁর অ্যাকাউন্টটি।
নাটোরের সিংড়া থানার বাসিন্দা মো. আসাদুজ্জামান জানান, এক বন্ধুর মাধ্যমে আজ দুপুরে জানতে পারেন তাঁর অ্যাকাউন্টটি ফেসবুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ খবর নিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে গিয়ে বিফল হন তিনি। তবে পরে সঠিক তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পেরেছেন তিনি।
মানিকগঞ্জের বাসিন্দা রিফাত আরা রুপা অভিযোগ করে বলেন, ‘আজ সকালেই এক নিকট আত্মীয়র সঙ্গে ফেসবুকে চ্যাট করছিলাম। চ্যাট শেষে অ্যাকাউন্ট থেকে লগ আউট করি। পরে আর অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে পারিনি। এমনকি আমার অ্যাকাউন্ট খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না।’
ফেসবুকের টেকনিক্যাল ম্যানেজার শবনম শাইক এক বার্তায় জানান, ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে বিভিন্ন প্রতারণা করা হচ্ছে। ভুয়া অ্যাকাউন্টগুলো বিভিন্ন ফেসবুক পেজে প্রথমে লাইক দেয়। পরে সেসব পেজের বিভিন্ন পোস্টে গিয়ে কমেন্টের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নিজেদের প্রচারণা (স্প্যামিং) চালায়। এ কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ওই অ্যাকাউন্টগুলোর মাধ্যমে বিভিন্নভাবে গুজব, মিথ্যা তথ্য ও ভুল খবর ছড়ানো হয় বলে জানিয়েছেন ফেসবুকের ওই কর্মকর্তা।
শাইক আরো জানান, বাংলাদেশ, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ভুয়া অ্যাকাউন্টের আধিক্য দেখা গেছে।
শাইক বলেন, একজন বাস্তব জীবনে যেমন আচরণ করে ফেসবুকেও তার প্রতিফলন ঘটে। তবে ভুয়া অ্যাকাউন্টগুলো ব্যতিক্রম। তারা স্পামিংয়েই ব্যস্ত থাকে।
উদাহরণ হিসেবে ফ্রান্সে ৩০ হাজার ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার কথা জানিয়েছেন শাইক।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বিভিন্ন পেজ থেকে ভুয়া লাইকের সংখ্যা কমাতেও সক্ষম হয়েছে। ফেসবুকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এক শতাংশের মতো আক্রান্ত পেজ যাদের লাইক সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি তাঁদের লাইকের সংখ্যা কমতে পারে। তবে তা তিন শতাংশের বেশি হবে না।