আগের দিনই দারুণ একটা কীর্তি গড়েছিলেন। অভিষেকে সবচেয়ে কম বয়সে পাঁচ উইকেট নেওয়া প্রথম বাংলাদেশি বোলার হয়েছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে আরেকটি উইকেট নিয়ে নিজের নামের পাশে আরো একটি কীর্তি যোগ করেছেন তিনি। পঞ্চম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে অভিষেকে ছয় উইকেট নিয়েছেন এই তরুণ অলরাউন্ডার।  

শুক্রবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মিরাজ ইংলিশ ব্যাটসম্যান স্টুয়ার্ট ব্রডকে ফিরিয়ে দিয়ে নতুন এই কীর্তি গড়েন। আগের দিন তিনি ফিরিয়েছেন বেন ডাকেট, গ্যারি ব্যালান্স , জো রুট, মইন আলী ও জনি বেয়ারস্টোর মতো দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যানদের।

অবশ্য পারফরম্যান্স বিবেচনায় মিরাজ আছেন দ্বিতীয় স্থানে। ৮০ রান খরচায় তিনি ৬ উইকেট পেয়েছেন। এ ক্ষেত্রে সেরা সাফল্য সোহাগ গাজীর। তিনি ৭৪ রানে ৬ উইকেট পেয়েছিলেন ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।   

অভিষেকে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ছয় উইকেট নিয়েছিলেন নাইমুর রহমান দুর্জয়। ২০০০ সালে ঢাকায় বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে তিনি এই কীর্তি গড়েছিলেন। এরপর মঞ্জুরুল ইসলাম, ইলিয়াস সানি,  সোহাগ গাজীর পর এবার মিরাজও ছয় উইকেট নিয়েছেন।  

অবশ্য পাঁচ বা তার চেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া সাত বাংলাদেশি ক্রিকেটারের মধ্যে মিরাজ সর্বকনিষ্ঠ। অভিষেকের দিনটিতে মিরাজের বয়স ছিল ১৮ বছর ৩৬১ দিন। এর আগে ২১ বছর ১০০ দিন বয়সে অভিষেকে ছয় উইকেট পেয়েছিলেন সোহাগ গাজী।

মিরাজের চেয়ে কম বয়সে অভিষেকে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন বিশ্বের মাত্র  মাত্র তিনজন বোলার। ১৮ বছর ১৯৩ দিন বয়সে অস্ট্রেলীয় পেসার প্যাট কামিন্স, ১৮ বছর ২৩৫ দিন বয়সে পাকিস্তানি স্পিনার শহিদ আফ্রিদি এবং আরেক পাকিস্তানি শহিদ নাজির ১৮ বছর ৩১৮ দিন বয়সে এই কীর্তি গড়েছিলেন।