আগের ম্যাচে ১০৮ রান করেও সিলেট সুপারস্টার্সকে নাটকীয়ভাবে এক রানে হারিয়েছিল বরিশাল বুলস। তবে বুধবার পারেনি মাহমুদউল্লাহর দল। বোলারদের নৈপুণ্যে বরিশালকে মাত্র ৮৯ রানে অলআউট করে সহজেই আট উইকেটে জিতেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।

বিপিএলে তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামা কুমিল্লার এটা দ্বিতীয় জয়। অন্যদিকে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে দুর্দান্তভাবে বিপিএল শুরু করা বরিশাল বুলসের এটা প্রথম হার।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে লক্ষ্য তেমন কঠিন ছিল না মাশরাফির দলের। মাত্র ৯০ রানের লক্ষ্যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস শুরু করেছিল সতর্কতার সঙ্গে। ইমরুল কায়েস দুটো চার মেরে বড় কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে ১৩ রানেই থেমে যেতে হয়েছে জাতীয় দলের ওপেনারকে। আল আমিন হোসেনের বলে স্টেপ আউট করে ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিয়ে তুলে মারতে চেয়েছিলেন ইমরুল। কিন্তু ধরা পড়েছেন সাব্বির রহমানের হাতে।

দলীয় ২৩ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মারলন স্যামুয়েলস। দুজনের দৃঢ়তায় ধীরে-ধীরে জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল কুমিল্লা। স্যামুয়েলসের চেয়ে হাসান একটু বেশিই আক্রমণাত্মক ছিলেন। তার মাশুলও দিতে হয়েছে। কেভন কুপারের বলে মাহমুদউল্লাহকে সহজ ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩১ রান করেছেন হাসান।

হাসানের বিদায়ের সময় জয় থেকে ৩০ রান দূরে ছিল কুমিল্লা। তবে সাত ওভারেরও বেশি বাকি থাকায় কোনোরকম তাড়াহুড়া করেননি স্যামুয়েলস ও শুভাগত হোম। ধীরে-সুস্থে, ঠাণ্ডা মাথায় খেলে ১২ বল হাতে রেখে জয় এনে দিয়েছেন দলকে। স্যামুয়েলস ২৩ ও শুভাগত ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন।