নাগপুর টেস্টেও বোলারদের রাজত্ব
ভারতের যে প্রান্তেই খেলা হোক না কেন, উইকেট সাধারণত ব্যাটিং-সহায়ক হয়ে থাকে। কিন্তু ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চলমান টেস্ট সিরিজে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। ব্যাটসম্যানদের অসহায়ত্বের বিপরীতে বোলারদের উল্লাস নাগপুরে তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনেও অব্যাহত।
মোহালিতে প্রথম টেস্টে ২১৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১০৯ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনেই প্রোটিয়ারা গুটিয়ে গিয়েছিল ২১৪ রানে। অবশ্য প্রথম দিনের পর একটানা বৃষ্টি ম্যাচটা আর হতে দেয়নি। নাগপুর টেস্টের শুরুতেও ব্যাটের ওপর বলের শাসন জারি রয়েছে।
প্রথম ইনিংসে ভারতকে ২১৫ রানে অলআউট করেও স্বস্তিতে নেই দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে বিপদে পড়ে গেছে অতিথিরা। প্রথম দিন শেষে দুই উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ১১ রান। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই স্টিয়ান ভ্যান জিলকে (০) স্লিপে অজিঙ্কা রাহানের ক্যাচ বানিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ইমরান তাহিরকে ‘নাইটওয়াচম্যান’ হিসেবে নামিয়ে দিনটা কোনো রকমে পার করার চেষ্টা করেছিল প্রোটিয়ারা। তবে একটা চার মেরেই রবীন্দ্র জাদেজার বলে বোল্ড হয়ে গেছেন তাহির (৪)। দিনশেষে ডিন এলগার সাত রানে অপরাজিত থাকলেও অধিনায়ক হাশিম আমলা রানের খাতা খুলতে পারেননি।
বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামা ভারতের শুরুটা খারাপ হয়নি। তবে মুরালি বিজয়-শিখর ধাওয়ানের ৫০ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যাওয়ার পর খেই হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। ১২ রান করা ধাওয়ানের ফিরতি ক্যাচ নিয়ে অতিথিদের ‘ব্রেক থ্রু’ এনে দেওয়ার কৃতিত্ব অনিয়মিত বাঁ-হাতি স্পিনার এলগারের।
অবশ্য ভারতের আসল সর্বনাশ করেছেন দীর্ঘদেহী পেসার মর্নে মরকেল ও অফস্পিনার সাইমন হার্মার। বর্তমান সময়ের সেরা পেসার এবং আইসিসি টেস্ট র্যাংকিংয়ের এক নম্বর বোলার ডেল স্টেইন চোটের কারণে বেঙ্গালুরুর মতো এই টেস্টেও খেলতে পারছেন না। তবে এই গতি-তারকার অনুপস্থিতি দলকে সেভাবে বুঝতে দেননি মরকেল। বিজয় (৪০), অধিনায়ক বিরাট কোহলি (২২) ও রাহানের (১৩) তিনটি মূল্যবান উইকেট এই দীর্ঘদেহী পেসারের।
অন্যদিকে হার্মারের ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে ফিরতে হয়েছে চেতেশ্বর পুজারা (২১), রোহিত শর্মা (২), ঋদ্ধিমান সাহা (৩২) আর অমিত মিশ্রকে (৩)। ‘টিম ইন্ডিয়া’র আটজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের ঘরে রান করলেও কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি।