বার্সেলোনার সাবেক ফুটবলার যুব দলের কোচ
ইউনিসেফ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা তাঁর স্ত্রী। সেই সুবাদে ঢাকায় এসেছেন গত জুনে। থাকতে হবে তিন বছর। বাংলাদেশের ফুটবলের সঙ্গে কাজ করতে তাই নিজে থেকেই যোগাযোগ করেন বার্সেলোনা ‘বি’ দলের সাবেক ফুটবলার গঞ্জালো সানচেজ মোরেনো। বাফুফেও একজন কোচ খুঁজছিল একাডেমি ও যুব দলের জন্য। তাই দীর্ঘ আলোচনার পর তাঁকে বাংলাদেশ যুব ফুটবল দলের কোচের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাফুফে।
দু-একদিনের মধ্যেই তাঁর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই করবে বাফুফে। আপাতত তাঁকে ছয় মাসের জন্য নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ভালো ফল এনে দিতে পারলে পরে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হতেও পারে।
অবশ্য মোরেনোর কোচিং অভিজ্ঞতা খুব বেশি সমৃদ্ধ নয়। গত বছর মাদাগাসকারের প্রিমিয়ার লিগের দল সিএনপিএসকে চ্যাম্পিয়ন করিয়েছিলেন। ছিলেন সেই দেশের অনূর্ধ্ব-১৭ দলেরও কোচ।
নবীন খেলোয়াড় হিসেবে ১৯৮৩ সালে বার্সেলোনার একাডেমিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এরপর খেলেছেন মূলত বার্সেলোনার ‘বি’ দলে। তাঁর কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা খুব বেশি সমৃদ্ধ না হলেও বার্সেলোনার একাডেমিতে থাকাটাই বাফুফের কাছে সবচেয়ে বেশি বিবেচ্য হয়েছে। এ ব্যাপারে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা যতটুকু জেনেছি, তিনি লম্বা সময় বার্সেলোনার একাডেমিতে ছিলেন। এটি অনেক বড় ব্যাপার। আশা করছি সেই অভিজ্ঞতা আমাদের এখানেও কাজে লাগাতে পারবেন তিনি।’
আপাতত তিনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নিয়ে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম তাঁকে বাফুফে একাডেমির কোচের দায়িত্ব দেওয়ার। কিন্তু একাডেমির জন্য আমরা আরেকজন কোচ আনার চিন্তুাভাবনা করছি। তাই মোরেনোকে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হয়েও কাজ করবেন।’
বার্সেলোনা থেকে পাওয়া শিক্ষাটা বাংলাদেশে কাজে লাগাতে চান মোরেনো, ‘বার্সেলোনায় থেকে আমি যেটুকু জেনেছি, সেই শিক্ষাটাই বাংলাদেশের ফুটবলে ছড়িয়ে দিতে চাই। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ফুটবলের কিছুটা হলেও উন্নতি হবে বলে আশা করছি।’