ধোনির কাছে ঈশ্বরের মতো ছিলেন টেন্ডুলকার
ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে ঈশ্বরের সম্মানই পান কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার। ক্রিকেটকে নতুন নতুন মাইলফলকের সামনে পরিচয় করিয়ে দেওয়া এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ছবি সামনে রেখে পূজা করতেও দেখা গেছে অনেক ভারতীয় নাগরিককে। শচীন শুধু ক্রিকেটপাগল ভারতীয়দের কাছেই নন, ভারতের অন্যতম সফল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছেও ছিলেন ঈশ্বরতুল্য। ছোটবেলায় বেড়ে ওঠার সময় টেন্ডুলকারকে এভাবেই ভক্তি-সম্মান করতেন ধোনি।
১৯৮৯ সালে টেন্ডুলকারের যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অভিষেক হয়, তখন ধোনির বয়স ছিল মাত্র আট বছর। ছোটবেলা থেকেই টেন্ডুলকার ছিলেন তাঁর আদর্শ। এত সফল একজন ক্রিকেটার হয়েও টেন্ডুলকার যে রকম বিনয়ী, সেটাই সবচেয়ে ভালো লাগে বলে জানিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক। নিউজার্সিতে বিহার ঝাড়খন্ড অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকা আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে ধোনি বলেছেন, ‘প্রতিবারই তিনি যখন মাঠে নেমেছেন, একজন ক্রিকেটার হিসেবে চেষ্টা করেছেন আরো উন্নতি করার। আমার মনে হয়, তিনি একজন আদর্শ ব্যক্তিত্ব, যাঁকে অনুসরণ করা যায়। আর আমরা তেমনটাই করার চেষ্টা করেছি। আমরা যখন বড় হয়ে উঠছিলাম, তখন শচীনের খেলা দেখতাম। তিনি আমাদের সবার কাছেই ছিলেন ঈশ্বরের মতো।’
২০০৪ সালে ধোনির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের ম্যাচেও মাঠে ছিলেন টেন্ডুলকার। ছোটবেলা থেকে যাঁকে ঈশ্বরের মতো সম্মান করেছেন, তাঁর সতীর্থ হিসেবে মাঠে নামতে পারার মুহূর্তটা নিশ্চয়ই বিশেষ কিছুই ছিল ধোনির জন্য। পরে তিনিও পেয়েছেন অনেক তারকাখ্যাতি। ভারতের অধিনায়ক হিসেবে জিতেছেন বিশ্বকাপ শিরোপা। এখন তিনিই হয়ে উঠেছেন অনেকের অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। আগামী দিনের ক্রিকেটারদের উদ্দেশে ধোনি বলেছেন, ‘মানুষের জীবনে একটা গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন বিষয় হলো লোভ নিয়ন্ত্রণ করা। লোভের কোনো সীমা নেই। একই সঙ্গে আমরা কী চাই, সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে। বাস্তবমুখী হতে হবে। বাস্তবমুখী হওয়া ও সৎ হওয়া মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’