কেনিয়ার অধিনায়ক, কোচ ও প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ
২০০৩ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে পুরো বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছিল কেনিয়া। সবাই বেশ উজ্জ্বল ভবিষ্যতের অনুমানই করেছিলেন কেনিয়ার জন্য। বাংলাদেশের জন্যও একসময় প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল কেনিয়া। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ যেখানে ক্রিকেটের সব পরাশক্তিকে হারানোর ক্ষমতা রাখে, সেখানে ধীরে ধীরে কেনিয়া দলটিই চলে গেছে বিস্মৃতির খাতায়।
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা কেনিয়া ক্রিকেট এবার বিলীন হওয়ার পথে। সহযোগী দেশগুলোর জন্য আইসিসি নির্ধারিত ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগ ডিভিশন টু-এ খেলে কেনিয়া। নামিবিয়ায় অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টে এক ম্যাচও জিততে পারেনি একসময় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানো দলটি। ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে দেশে ফিরেই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দলের অধিনায়ক রাকেপ প্যাটেল।
অধিনায়কের পরপরই কেনিয়া দলের কোচ টমাস ওডোয়ো দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ওডোয়ো কেনিয়ার সোনালি দিনের দারুণ একজন বোলার ছিলেন। অধিনায়ক ও কোচের পর নিজে আর প্রেসিডেন্ট পদে থাকার কোনো মানে খুঁজে পেলেন না কেনিয়া ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট জ্যাকি জানমোহাম্মদ।
ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট ডিভিশনের ছয় দলের মধ্যে খেলায় কেনিয়া টুর্নামেন্ট শেষ করেছে ষষ্ঠ দল হিসেবে। তাই তারা নেমে গেছে ডিভিশন থ্রি-তে। টুর্নামেন্টে আরব আমিরাতের কাছে ২১৮ রানের বিশাল ব্যবধানেও হেরে গেছে কেনিয়া। এই হার ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার।
কেনিয়ার হয়ে বিশ্বকাপ খেলা কোচ ওডোয়ো মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তিনি বলেন, ‘নামিবিয়ায় আমরা এক সপ্তাহ থেকেছি পুরোপুরি বিধ্বস্ত অবস্থায়। এটা খুবই কষ্টের। আমার মনে হয় না আর কেউ দলটিকে এগিয়ে নিতে চাইবে, যেটা আমি চেয়েছিলাম। আমরা খারাপ পারফরম্যান্সের সবচেয়ে বাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। কেনিয়ার এই অবস্থার উন্নতির জন্য হাই পারফরম্যান্স সেন্টার স্থাপন করা জরুরি।’