শুভ জন্মদিন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট!
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের নাম টি- টোয়েন্টি। বর্তমানে ক্রিকেট বিশ্বে যেটাকে বলা হচ্ছে ক্রিকেটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও উত্তেজনাপূর্ণ খেলা। এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের জন্ম হয়েছিল ২০০৫ সালের আজকের দিনে।
একটি টি- টোয়েন্টি ম্যাচে প্রত্যেক দল সর্বোচ্চ ২০ ওভার করে খেলার সুযোগ পায়। স্বাভাবিকভাবে ৩ ঘন্টার মধ্যেই একটি ম্যাচ শেষ হয়ে যায়।
একটা সময়ে টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটের লম্বা সময়ের ম্যাচগুলোর কারনে মাঠে দর্শক কমতে শুরু করেছিল। এছাড়াও ক্রিকেটীয় জটিল নিয়ম-কানুনের জন্য এটার প্রচার-প্রসার ঘটাতেও বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল আইসিসিকে। তাই সংক্ষিপ্ত সময়ের সহজবোধ্য একটি ফরম্যাট হিসেবেই উদ্ভব ঘটে টি-টোয়েন্টির।
পাঁচ দিনের টেস্ট বা এক দিনের ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অনেকেই মুখ সরিয়ে নিচ্ছিলেন এই ব্যস্ত সময়ে। তাদের কথা ভেবে খেলাটকে আরো উত্তেজনাপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য এই ফরম্যাটের আবির্ভাব। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের মার্কেটিং ম্যানেজার স্টুয়ার্ড রবার্টসন ২০০১ সালে প্রথম ২০ ওভারের খেলার প্রস্তাব রেখেছিলেন।
মূলত ২০০৩ সালে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড আন্তঃ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সর্বপ্রথম টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্ম দেয়। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৩ সালের ১৩ জুন।
আন্তর্জাতিকভাবে প্রথম প্রমীলা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০০৪ সালের ৫ আগস্ট। এই ম্যাচে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড দল অংশগ্রহণ করে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টির আবির্ভাব ঘটে ২০০৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি। যেখানে অংশগ্রহণ করে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। ওই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করে এবং অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং ৯৮ রানে অপরাজিত থাকেন।