এবার বর্ণবাদের শিকার ইমরান তাহির!
গোলাপি জার্সির ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকান দর্শকদের বিপক্ষে অভিযোগ উঠেছে বর্ণবাদী আচরণের। অভিযোগ করেছেন প্রোটিয়া লেগস্পিনার ইমরান তাহির। তাহিরের অভিযোগ আমলে নিয়ে তা খতিয়ে দেখছে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ) এবং ওয়ান্ডারার্স মাঠের দায়িত্বে নিয়োজিত নিরাপত্তাকর্মীরা।
গত শনিবার ভারতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে দর্শক সারি থেকে তাহিরকে উদ্দেশ্য করে বর্ণবাদী মন্তব্য করেন অজ্ঞাত কেউ একজন। পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই স্পিনার তা নিরাপত্তাকর্মীদের অবহিত করেন। তাহিরকে নিয়েই নিরাপত্তাকর্মীরা সে ব্যক্তিকে খুঁজতে গ্যালারিতে তল্লাশি চালায়।
ক্রিকইনফোর খবরে জানা যায়, দর্শক সারি থেকে ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায় ভক্তদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তাহির। ভিডিওচিত্রে খুব একটা স্বাভাবিক দেখায়নি তাহিরকে। ‘আমারও পরিবার আছে’- এমন কথা বলতে শোনা যায় ৩৮ বছর বয়স্ক এই ক্রিকেটারকে। আর দর্শকদের মধ্যে কজন তাহিরকে তিরস্কার করছিলেন ‘বাজে খেলোয়াড়’ বলে।
সিএসএ জানিয়েছে, অভিযোগ আমলে নিয়েছে তারা। পাশাপাশি প্রোটিয়া বোর্ড নিশ্চিত করেছে তাহির কোনো দর্শকের সঙ্গেই সংঘর্ষে যাননি, কিংবা কোনো শিশুকেও তিনি আঘাত করেননি।
ইমরান তাহির অবশ্য এবারই বর্ণবাদী আচরণের শিকার হননি। এর আগেও ২০১৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে এই ক্রিকেটারকে মুখোমুখি হতে হয়েছিল একই অভিজ্ঞতার।
আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টও বর্ণবাদী আচরণের বিপক্ষে। যারা এমন আচরণ করবে তাদের মাঠ থেকে বের করা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। শাস্তি দেওয়ার বিধান রয়েছে।
ক্রিকেটে বর্ণবাদের ইতিহাস ঘাঁটলে সবচেয়ে বেশিবার আসে দক্ষিণ আফ্রিকার নাম। বর্ণবৈষম্যের অভিযোগেই প্রোটিয়াদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হয়েছিল প্রায় ২২ বছর। আবারও তাদের গায়েই লাগছে ‘বর্ণবাদের’ সেই পুরোনো হাওয়া!