লিনের চোটে কপাল খুলল হোয়াইটের
ক্রিস লিনের ব্যাপারে যেন একটা কথা বেশ প্রচলিত, দলে তাঁর নাম থাকবে— ঠিক খেলা শুরুর আগে চোটের কারণে ছিটকে পড়বেন। আবার তাঁর বদলে দলে সুযোগ পাবেন অন্য কেউ। এই যেমন তিন বছর ধরে দলে ফেরার লড়াই চালিয়ে যাওয়া ক্যামেরন হোয়াইটের সুযোগ মিলল সেই লিনের চোটের কারণে।
লিনের চোটে কপাল খুলতে পারে তার কদিন আগে এমন কথা শুনে হেসেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন বিগ ব্যাশে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ক্যামেরন। দিন কয়েক পরে হোয়াইট বোধহয় চমকালেনই! ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দলে ডাক পেয়েছেন ৩৪ বছর বয়স্ক এই ব্যাটসম্যান।
নির্বাচকদের কাছে বিবেচ্য ছিলেন আরো তিনজন। মারকুটে ব্যাটসম্যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ডি’আর্চি শর্ট আর অ্যাশটন টার্নারের মধ্যে সুযোগ পেতে পারতেন যে কেউ। কিন্তু হোয়াইটেই আস্থাটা রেখেছেন নির্বাচকরা।
দলে না থাকার সময়টা তিন বছর হলেও শেষ ছয় বছরে হোয়াইট মাঠে নেমেছেন মাত্র একবার। ২০১১ সালে বাংলাদেশ সফরে শেষবার মাঠে নেমেছিলেন হোয়াইট। এরপর ২০১৫ বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছিলেন এক ম্যাচে। ফিরেছিলেন শূন্য হাতে। তারপর আর দেখা হয়নি জাতীয় দলের মুখ।
ঘরোয়া ক্রিকেটে এ বছরের ওয়ানডে কাপে ৫০ গড়ে নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটসম্যান হোয়াইট বিগ ব্যাশেও রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে। ৬ ইনিংসে এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটিতে হোয়াইটের সংগ্রহ ১৪২.৫০ গড়ে ২৮৫ রান।
তবে ইংলিশদের বিপক্ষে একটা চ্যালেঞ্জ কিন্তু থাকছেই হোয়াইটের সামনে। গত দুই বছরে বেশ কয়েকবার হোয়াইট সমালোচনা করেছেন অস্ট্রেলীয় নির্বাচকদের নির্বাচন পদ্ধতিকে। মাঠে নেমে হোয়াইটকে তাই প্রমাণ করতে হবে তিনিই ছিলেন সঠিক। বিফল হলে কে জানে, জাতীয় দলের দরজাটা হয়ে যেতে পারে চিরতরে বন্ধ।
অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলঃ স্টিভেন স্মিথ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, প্যাট কামিন্স, অ্যারন ফিঞ্চ, জশ হ্যাজলউড, ট্র্যাভিস হেড, ক্যামেরন হোয়াইট, মিচেল মার্শ, টিম পেইন, ঝাই রিচার্ডসন, মিচেল স্টার্ক, মার্কাস স্টইনিস, অ্যান্ড্রু টাই, অ্যাডাম জাম্পা।