বেঁচে যেতে পারেন ইউসুফ পাঠান
ডোপিংয়ের অভিযোগে পাঁচ মাসের জন্য যেকোনো ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। তবে, স্বপক্ষে যুক্তি তুলে ধরে ইউসুফ পাঠান আপিল করায় মামলা আপাতত ডিসমিস হয়নি। সব বিবেচনায় এনে ১৪ জানুয়ারি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) জানাবে নতুন সিদ্ধান্ত।
নয়াদিল্লিতে গত বছরের মার্চে দেওয়া এক ডোপ পরীক্ষায় টার্বুটালিন নামক কাশির ওষুধের নমুনা পাওয়া যায়। ওয়াদার দেওয়া তালিকায় যে ওষুধ ছিল নিষিদ্ধ। মঙ্গলবার তারই পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ মাসের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় পাঠানকে।
নিজের পক্ষে যুক্তি ধরে ইউসুফ পাঠান এ প্রসঙ্গে বিসিসিআইকে জানিয়েছেন অসাবধানতার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গলা ব্যথার কারণে তাঁর চিকিৎসক তাঁকে ভুল ওষুধ দিয়েছিলেন। আশার কথা, বিসিসিআইও মেনে নিয়েছে তাঁর যুক্তি।
যদিও, ওয়াদা এখনো কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি এই বিষয়ে। প্রতিষ্ঠানটির গণমাধ্যম ব্যবস্থাপক ম্যাগি ডুরান্ড ই-মেইল মারফত জানিয়েছেন, ‘যেহেতু মামলাটি এখনো চলছে তাই এ নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছে না।‘
এ ছাড়া এক বিবৃতিতে বিসিসিআই জানিয়েছে, ‘ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় ইউসুফ পাঠানকে নিষিদ্ধ করছি। তিনি অসাবধানতাবশত এমন ওষুধ নিয়েছেন, যেটা সাধারণ কাশির সিরাপে পাওয়া যায়।‘
তবে এনডিটিভির খবরে জানা গেছে এই মৌসুমে আইপিএলে খেলতে পারবেন ইউসুফ পাঠান। আগামী ২৭-২৮ জানুয়ারিতে ইপিএলের নিলামেও উঠবেন এই অলরাউন্ডার।
২০১১ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন ইউসুফ পাঠান। ৩৫ বছর বয়স্ক এই ক্রিকেটার গত বছরের মার্চে বিসিসিআই কর্তৃক ডোপ পরীক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, শেষ পর্যন্ত বিসিসিআই যদি সিদ্ধান্ত নেয় শাস্তি বহাল রাখার তবে আসছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে মাঠে নামতে পারছেন না ইউসুফ পাঠান- তেমনটা নিশ্চিতই।