অ্যাশেজে ফিক্সিংয়ের প্রমাণ পায়নি আইসিসি-অস্ট্রেলিয়া
ক্রিকেটের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ও মর্যাদাপূর্ণ লড়াইয়ের নাম অ্যাশেজ। সারা বিশ্বের কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর অন্যতম পছন্দের লড়াই এটি। তবে এবারের অ্যাশেজের গায়ে কিছুটা কলঙ্ক বোধ হয় লেগেই গেল। স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ এসেছে ক্রিকেটের সবচেয়ে পুরোনো এই লড়াইকে কেন্দ্র করে। বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছে পুরো বিশ্ব। আইসিসি, ইসিবি, সিএসহ ক্রিকেটের অন্যান্য দেশগুলোও বিষয়টির ওপর নজর রাখছে।
ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য সান’ এক অনুসন্ধান চালিয়ে দুই ভারতীয় বাজিকরের সঙ্গে গোপনে আলোচনা করেছে। সেখানে জানানো হয়েছে, এবারের অ্যাশেজে সক্রিয় রয়েছেন বাজিকররা। কখন কী ঘটছে তার আগাম তথ্যও নাকি বাজিকরদের কাছে রয়েছে। তবে অ্যাশেজে ফিক্সিং অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছে আইসিসি ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। দ্য সানের প্রতিবেদন অসম্পূর্ণ ও অনির্ভর বলে উল্লেখ করেছে আইসিসি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও ইংলিশ প্রতিবেদনটির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
সম্প্রতি দুজন ভারতীয় বাজিকরের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করে একটি স্টিং অপারেশন করেছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য সান। সোর্বেস জোবান ও প্রিয়াঙ্কা সাক্সেনা নামে ভারতীয় বাজিকররা দাবি করেছেন যে, এবারের অ্যাশেজ সিরিজে তাঁরা ফিক্সিং করেছেন। অস্ট্রেলিয়ায় একজন গোপন বাজিকর রয়েছেন, যিনি পুরো বিষয়টি মধ্যস্ততা করেন। তবে কোন দেশের ক্রিকেটার এর সঙ্গে জড়িত, সেটা জানাতে পারেননি তাঁরা।
এবারের অ্যাশেজে এখন পর্যন্ত এক লাখ ৮৭ হাজার মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে বলে এই দুই বাজিকর জানিয়েছেন। পার্থ টেস্টের দুই সেশনের পুরো তথ্য তাঁরা দ্য সানের প্রতিবেদককে জানাতে পারবেন বলেও দাবি করেছেন।
দ্য সানের এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস স্যাদারল্যান্ড। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের বিষয়গুলোকে সব সময় প্রাধান্য দিয়ে থাকি আমরা। তবে এই সংবাদের সত্যতা পাইনি আমরা। প্রতিবেদনটিতে তথ্যের ঘাটতি আছে। কোন দেশের ক্রিকেটার বা কারা এর সঙ্গে জড়িত, সেটা অস্পষ্ট। তবে আমরা তদন্ত চালিয়ে যাব। দুর্নীতির সঙ্গে কোনো আপস নয়।
আইসিসিও বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে নিয়েছে। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটির এন্টি করাপশন ইউনিটের জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল জানিয়েছেন, পার্থ টেস্টে ফিক্সিং অভিযোগের কোনো প্রমাণ বা দলিল পাননি তাঁরা। তিনি বলেন, ‘অভিযোগটা গুরুতর। সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হবে সবকিছু। তবে অ্যাশেজ টেস্টে ফিক্সিং হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ পাইনি আমরা।’