একপক্ষে আমিনুল ইসলাম বুলবুল, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, জাভেদ ওমর বেলিম, আতহার আলী খান; অপর পক্ষে হাবিবুল বাশার সুমন, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আকরাম খান। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারিগর এই ক্রিকেটাররা। একসঙ্গে এই ক্রিকেটারদের দেখলে নস্টালজিক হতে বাধ্য আপনি। এবাবের বিজয় দিবস ক্রিকেটে একে অপরের বিপক্ষে খেলবেন টাইগার কিংবদন্তিরা।

আগামী ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় দিবস প্রীতি ম্যাচে খেলবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের সাবেক ক্রিকেটাররা। দুই দলে বিভক্ত হয়ে মাছে নামবেন আকরাম-বুলবুলরা। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হবে ম্যাচটি। শহীদ জুয়েল একাদশ ও শহীদ মুশতাক একাদশ নামে দুটি দলে বিভক্ত হয়ে খেলবেন সাবেক ক্রিকেটাররা।

শহীদ আবদুল হালিম চৌধুরী জুয়েল যিনি জুয়েল নামে পরিচিত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে নিহত হন এই ক্রিকেটার। ২৯ আগস্ট পাকিস্তানি সেনারা তাঁকে আটক করে। কয়েকদিন পরে তাঁকে হত্যা করে। অসীম সাহসিকতার জন্য তাকে বীরবিক্রম খেতাবে ভূষিত করা হয়।

শহীদ মুস্তাক ছিলেন শহীদ জুয়েলের বন্ধু। তিনিও অসাধারণ প্রতিভাধর ক্রিকেটার ও সংগঠক  ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে নিহত বন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে বেরিয়ে পড়েন তিনি। স্বাধীনতার মাত্র একদিন আগে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে তিনিও মৃত্যুবরণ করেন। ক্রীড়াজগতের অন্যতম সেরা এই কৃতী সন্তানের স্মরণে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের দুটি স্ট্যান্ডের নামকরণ করা হয়েছে তাঁদের নামে। প্রতিবছর বিজয়ের দিনে তাঁদের স্মরণে আয়োজন করা হয় প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ।

শহীদ জুয়েল একাদশ  

শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, জাভেদ ওমর বেলিম, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, এহসানুল হক সেজান, হান্নান সরকার, হাসানুজ্জামান, জাহাঙ্গীর আলম, নিয়ামুর রশীদ রাহুল, আতাহার আলী খান, তালহা জুবায়ের, মোর্শেদ আলী খান, শফিউদ্দিন আহমেদ বাবু, আনোয়ার হোসেন, মেহরাব হোসেন অপি।

শহীদ মুশতাক একাদশ

হারুনুর রশীদ লিটন, হাবিবুল বাশার সুমন, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আকরাম খান, মুশফিকুর রহমান বাবু, খালেদ মাহমুদ সুজন, জামাল উদ্দিন বাবু, মোহাম্মদ সেলিম, মোহাম্মদ রফিক, হাসিবুল হোসেন শান্ত, সাইফুল ইসলাম, তারেক আজিজ খান, মিজানুর রহমান বাবুল, ফারুক আহমেদ।