অপরাধ প্রমাণের আগেই নিষিদ্ধ নাসির জমশেদ
ম্যাচ ফিক্সিং তদন্তে অসযোগিতার অভিযোগে এক বছর ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান নাসির জমশেদ। এর ফলে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগেই নির্বাসনে গেলেন এই ক্রিকেটার। ধারণা করা হচ্ছে, ক্রিকেট থেকে আজীবন নিষিদ্ধ হতে পারেন তিনি। এ বছরের শুরুতে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ ওঠে নাসির জমশেদের বিপক্ষে। ম্যাচ পাতানো কাণ্ডে তদন্তে নেমেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট। তবে তদন্তে মোটেও সহযোগিতা করেননি এই ক্রিকেটার। যার ফলে দোষী প্রমাণিত হওয়ার আগেই শাস্তি পেলেন নাসির জমশেদ।
পিএসএলে ম্যাচ গড়াপেটার দায়ে ইতিমধ্যে শারজিল খান ও খালিদ লতিফকে নিষিদ্ধ করেছে পিসিবি। দুজনেই পাঁচ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন। জমশেদের বিরুদ্ধে অবশ্য ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রমাণ পায়নি পিসিবি। তবে তদন্তে সাহায্য না করার নিজেকে অপরাধীর প্রাণ করে ফেললেন এই ক্রিকেটার।
এর আগেও বেশ কয়েকবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ে নাসির জমশেদের নাম আসে। ২০১২ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম আসরেই জুয়াড়িদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এই পাক ক্রিকেটারের। সেবার মিরপুর থানা পুলিশ তাকে আটকও করেছিল। পরে অবশ্য ছাড়া পান তিনি। এবার পিএসএলে দল পাননি জমশেদ। তবে অভিযোগ উঠেছে জুয়াড়িদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁর।
স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে গত মার্চে লন্ডনে গ্রেপ্তার হন নাসির জামশেদ। তবে পরের মাসেই জামিন পেয়ে যান। শারজিল খান ও খালিদ লতিফের যোগাযোগ কর্তা হিসেবেও উঠে আসে এই ক্রিকেটারের নাম। এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে পিসিবি। বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও তদন্ত কমিটিকে কোনো সহযোগিতা করেননি
পাকিস্তানের হয়ে দুটি টেস্ট, ৪৮টি ওয়ানডে ও ১৮টি টি-টোয়েন্টি খেলা জামশেদ। তদন্তে সহযোগিতা না করার শাস্তিস্বরূপ জামশেদকে নিষিদ্ধ করল পিসিবি।