সাকিবের ঢাকাকে হারিয়ে শীর্ষে তামিমের কুমিল্লা
টস জিতে ব্যাটিং নেওয়াটাই তাহলে কাল হলো ঢাকা ডায়নামাইটসের জন্য! এবারের বিপিএলে টস জিতে চোখ বন্ধ করে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছেন অধিনায়করা, তবে কী ভেবে জানি টস জিতে আজ ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ১২৮ রানে অলআউট হওয়ার পরই বোঝা গেল সাকিবের সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল।
ম্যাচে সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটসকে ৪ উইকেটে হারিয়ে বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এলো তামিম ইকবালের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
১২৯ রানের সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে কুমিল্লাকে স্বস্তিতে থাকতে দেননি ঢাকার বোলাররা। ২৩ রানের মধ্যে তামিম ইকবাল ও লিটন দাসকে ফিরিয়ে দেন নারাইন-আবু হায়দাররা। ইমরুল কায়েস মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন, তবে সেটা হতে দেননি সাদ্দাম। এদিকে ড্যারেন ব্রাভো-জস বাটলার ও সাইফুদ্দিনকে ফিরিয়ে দিয়ে ঢাকাকে ম্যাচে ফেরান নারাইন ও আমির।
সতীর্থরা ফিরলেও অন্য প্রান্তে অবিচল থেকে যান শোয়েব মালিক। অপরাজিত ৫৪ রান করে কুমিল্লাকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন এই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। দলে বাকি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ইমরুল ২০, তামিম ১৮, ব্রাভো ১২ ও বাটলার ১১ রান করেন।
ঢাকার বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ আমির ও সুনীল নারাইন নেন দুটি করে উইকেট। আবু হায়দার রনি ও সাদ্দাম নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করে মাত্র ১২৮ রানে শেষ হয় ঢাকা ডায়নামাইটসের ইনিংস।
ব্যাটিং করতে নেমে হাসান আলীর তোপে পড়ে ঢাকা। নিজের প্রথম ওভারেই এভিন লুইস ও মেহেদী মারুফকে তুলে নেন এই পাক সেনসেশন। এরপর অবশ্য কুমার সাঙ্গাকারা ও সুনীল নারাইনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ঢাকা। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এই দুজন তোলেন ৯২ রান।
দলীয় ১০৪ রানে রান আউট হন সাঙ্গাকারা। লঙ্কান কিংবদন্তি করেন ২৮ রান। ৪৫ বলে ৭৬ রান করা নারাইন আউট হন দলীয় ১১৪ রানে। নারাইন ও সাকিবকে ফিরিয়ে কুমিল্লাকে ম্যাচে ফেরান সাইফুদ্দিন।
এরপর আবার তোপ দাগান হাসান। আরো তিন উইকেট তুলে নিয়ে ঢাকার ইনিংসটাকে গুটিয়ে দেন তিনি। মাত্র ২১ বলে ২০ রান খরচায় পাঁচ উইকেট নেন এই পাক স্পিড স্টার। সাইফুদ্দিন নেন দুটি উইকেট। শেষ পর্যন্ত ১৮.৩ ওভারে মাত্র ১২৮ রান করে অলআউট হয় ঢাকা ডায়নামাইটস।