শীর্ষে ফিরল সাকিবের ঢাকা
এক ঝাঁক তারকা ক্রিকেটার নিয়েও সিলেট পর্বে প্রথম ম্যাচটা হেরে যায় ঢাকা ডায়নামাইটস। এরপরই গুঞ্জন ওঠে, অধিক তারকাই ঢাকার কাল হবে না তো? শেষ পর্যন্ত তেমনটা হয়নি। টানা তিন ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করল সাকিব আল হাসানের দল। চার ম্যাচের তিনটিতে জিতে সাকিবদের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। অন্যদিকে সিলেটের পয়েন্টও ছয়। তবে একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে নাসির হোসেনের দল। এ ছাড়া রান রেটেও এগিয়ে ঢাকা ডায়নামাইটস।
টানা তিন ম্যাচে জিতে দারুণ খুশি সাকিব আল হাসান। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ঢাকার অধিনায়ক বলেন, ‘নিজেদের প্রমাণ করেছি আমরা। কার্লোস (বার্থওয়েট) দারুণ খেলেছে। এটা খুলনার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া প্রথমে কয়েকটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাই আমরা। তবে পোলার্ড ও জহুরুল অসাধারণ খেলেছে। তাঁরা দেখিয়ে দিয়েছে ঢাকা দুই-একজন নির্ভর দল নয়।’
সাকিব মনে করছেন এই জয়টা তাদের আরো অনুপ্রাণিত করেব। কেবল তাই নয়, এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ দর্শকদেরও বিনোদিত করবে। তিনি বলেন, ‘পাওয়ার প্লেতে কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেলায় ১৬০ রান (আসলে ১৬৭) তাড়া করাটা কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। তবে যেভাবে ম্যাচটা জিতেছি এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে তুলেছে। এই ধরনের ম্যাচগুলো বিপিএলের জন্য ভালো।’
জয়ের কৃতিত্বটা দলের সবাইকে দিলেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘আমরা দারুণ বল করেছি। তবে শেষটা ভালো না হওয়ায় হতাশ ছিলাম। তবে ফলাফলটা পক্ষে আসায় দারুণ খুশি আমরা।’
শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে খুলনা টাইটানসকে চার উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। প্রথমে ব্যাটিং করে খুলনা সংগ্রহ করে ১৫৬ রান। জবাবে এক বল হাতে রেখেই চার উইকেটে জিতে ম্যাচটা পকেটে পুরল সাকিব আল হাসানের দল। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেও উঠলেন সাকিব-আফ্রিদিরা। মাত্র ২৪ বলে ছয়টি ছক্কা ও তিন চারে ৫৫ রান করেন কাইরন পোলার্ড। এ ছাড়া ৩৯ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন জহুরুল।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৫৬ রান করে খুলনা টাইটানস। মাত্র ২৯ বলে ৬৪ রান করেন বার্থওয়েট। চারটি চার ও ছয়টি ছক্কার মার ছিল তাঁর ইনিংসে। অন্যপ্রান্তে রিলে রুশো করেন ৩০ বলে ৩৪ রান।