এক মাস মাঠের বাইরে তামিম
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আরেকটি খারাপ খবর শুনল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ঊরুর পেশিতে চোট পাওয়ার কারণে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ ও পুরো টি-টোয়েন্টি সিরিজটা মিস করবেন তামিম। আজ শনিবার টাইগার ওপেনারের দেশে ফেরার কথা। এক মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাঁকে। সেই কারণে বিপিএলেরও কয়েকটি ম্যাচ মিস করবেন তিনি।
তামিমের ছিটকে পড়াটা টাইগারদের জন্য বিশাল ক্ষতি। কারণ ইতিমধ্যে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ হেরে বসেছে সফরাকারীরা। সান্ত্বনার জন্য হলেও শেষ ওয়ানডেটা জিততে চেয়েছিলেন মাশরাফি। তবে তামিম ইনজুরিতে পড়ায় মাশরাফিরা বড় একটা ধাক্কা খেলেন। তামিমের আগে ওয়ানডে সিরিজের শুরুতে ইনজুরির কারণে ছিটকে পড়েন মুস্তাফিজুর রহমান।
সফরের শুরু থেকেই ইনজুরি পেছনে লেগে আছে তামিমের পেছনে। প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিং করার সময় পায়ের পেশিতে টান পেয়েছিলেন তিনি। এরপর কিছুদিন বিশ্রাম নিয়ে প্রথম টেস্টে খেলতে নামেন। সেই ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময়ও একই জায়গায় আবার চোট পান টাইগার ওপেনার। তাই তাঁকে দ্বিতীয় টেস্টে নামানোর ঝুঁকি নেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। তামিমের বদলে সেই টেস্টে ওপেন করেন সৌম্য সরকার। গ্রেড-১ হিপ মাসল স্ট্রেইনে ভুগছিলেন তামিম।
দ্বিতীয় টেস্টেও খেলতে পারেননি তামিম। এমনকি প্রথম ওয়ানডেতেও তাঁকে ছাড়াই নামতে হয় বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় ওয়ানডের দলে অবশ্য ছিলেন তামিম তবে তৃতীয় ম্যাচের আগে আবার ইনজুরি পেয়ে বসেছে তাঁকে। ইস্ট লন্ডনে শুক্রবার তামিমের স্ক্যান করানো হয়। রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রধান নির্বাচক ও দলের ম্যানেজার মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ইনজুরির কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পারবেন না তামিম।’ প্রথম দুই ম্যাচে হেরে এরই মধ্যে সিরিজ খুইয়ে বসেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেটে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও ১০৪ রানের বড় ব্যবধানে হারে মাশরাফির দল। টেস্ট সিরিজে প্রোটিয়াদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ।