এ কেমন মাঠে খেলছেন মাশরাফিরা?
দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে সুন্দর শহরগুলোর মধ্যে একটি পার্ল। দেশটির ওয়েস্টার্ন কেপ প্রদেশের একটি শহর এটি। চারদিকেই রয়েছে চমৎকার সব পাহাড়। সাদা মেঘের আবরণে পাহাড়গুলোতে ভালোভাবে দেখা যায় না। সবুজ বনানী আর পাহাড়ে ঘেরা শহরটিকে দেখলে মনে হবে এটিই হয়তো পৃথিবীর স্বর্গ। তবে বোল্যান্ড পার্কের দিকে তাকালে সেই মুগ্ধতা উবে যাবে। এত সুন্দর জায়গায় এত বিশ্রী একটা মাঠ! এই মাঠেই সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলছে বাংলাদেশ। এবড়োখেবড়ো আউটফিল্ড, যেখানে সেখানে ঘাস নেই। পার্লের বোল্যান্ড পার্ককে দেখলে বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জের কোনো মাঠের কথা মনে হবে।
আজ টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান মাশরাফি। তবে খেলার শুরুর পরেই মাঠের দৈন্যদশা আরো ভালোভাবে ফুটে ওটে। আমলা-ডি ককের জোরের ওপর মারা শটগুলো বাউন্ডারি পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছিলই না। দশম ওভারে এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে দারুণ একটা শট খেলেন আমলা। মনে হচ্ছিল বলটা সীমানা পার হয়ে যাবে। টেলিভিশন ক্যামেরাও সেভাবেই এগোচ্ছিল। তবে ছয় তো দূরের কথা, বলটা সীমানার কিছু আগে পড়ে সেখানেই বসে যায়।
এরপর আরো কয়েকবার বল সীমানার দিকে যেতে যেতেই আটকে যায়। আউটফিল্ড খুবই বাজে। এই মাঠে ফিল্ডিং করা খুবই কঠিন। ইনজুরিতে পড়তে পারেন ফিল্ডাররা। ৪০তম ওভারে ডি ভিলিয়ার্সের ক্যাচ উঠলেও মাঠের বাজে অবস্থার কারণে জোরে দৌড়াতে পারেননি লিটন দাস ও রুবেল হোসেন।