অবশেষে ১২-এর দেখা পেলেন মুমিনুল
বিভিন্ন কারণেই বারোকে সৌভাগ্যের সংখ্যা মনে করা হয়ে থাকে। আর এই এই কারণেই পোয়াবারো শব্দটি বেশ প্রচলিত। তবে এই সংখ্যাটিতে কিছুতেই পৌঁছানো হচ্ছিল না মুমিুনল হকের। অভিষেকের পর টানা ১১ হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন বাংলাদেশের ব্র্যাডম্যান খাত এই ব্যাটসম্যান। এরপরই যেন নিজের ছায়া হয়ে যান তিনি। আরেকটা হাফ সেঞ্চুরি আসছিল না কিছুতেই। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় এসে কাঙ্ক্ষিত ইনিংসের দেখা পেলেন মুমিনুল। বিপর্যয়ের মুখে দারুণ ব্যাটিং করে চলেছেন তিনি। এখন পর্যন্ত ৭২ রানে অপরাজিত রয়েছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এটিই কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রান। এর আগে ২০০২ সালে ইস্ট লন্ডনে ৭১ রান করেছিলেন আল শাহরিয়ার।
দলীয় ১৬ রানে ইমরুল কায়েস আউট হওয়ার পর উইকেটে আসেন মুমিনুল। এরপর তাঁকে একা রেখে ফিরে যান লিটন দাসও। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসটাকে বেশ ভালোভাবেই সামলান তিনি। মুশফিক ও তামিম ফিরে গেলেও অবিচল থেকে যান মুমিনুল।
প্রোটিয়া পেসারদের ভালোভাবে সামলে ক্যারিয়ারের ১২তম হাফ সেঞ্চুরিটা তুলে নেন মুমিনুল হক। ইনিংসের ৫০তম ওভারে কেশব মহারাজের বলে মিড অন দিয়ে চার মেরে অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি।
এই ইনিংসটা দারুণভাবে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে মুমিনুলকে। কারণ জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ হাফ সেঞ্চুরিটা পেয়েছিলেন তিনি। এরপর ভারত সফরে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে দল থেকে বাদ পড়ে যান এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। জায়গা হচ্ছিল না অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজেও। তবে দেশজুড়ে সমালোচনা উঠলে শেষ পর্যন্ত তাঁকে দলে ভেড়াতে বাধ্য হন নির্বাচকরা। প্রথম টেস্টে না থাকলেও অসিদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ভালো খেলে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দলে জায়গা করে নেন তিনি। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে নিজেকে আরেকবার প্রমাণ করলেন মুমিনুল হক।