ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ জিতে জয় উদযাপন করতে পানশালায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে কয়েকজন যুবকের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন ইংলিশ ক্রিকেটার বেন স্টোকস। এর পরই দুজনকে বেদম প্রহার করেন তিনি। ঘুষি মেরে তাদের জখমও করেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। এ জন্য হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাদের। সে সময় স্টোকসের সঙ্গে ছিলেন দলের আরেক সতীর্থ অ্যালেক্স হেলস। এর পরই স্টোকস ও হেলসকে আটক করে পুলিশ।

অবশ্য পরে স্টোকস ও হেলস দুজনই ছাড়া পান। তবে এর খেসারত দিতে হয়েছে তাঁদের। এ কারণে হেলস ও স্টোকসকে চলমান সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডের দলে রাখেনি ইংল্যান্ড। শুধু তাই নয়, এ ঘটনার জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধও হয়েছেন তাঁরা।

দলে জায়গা হারানোর পরে সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন তাঁরা। স্টোকসের সমালোচনা করেছেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন, ‘নিজেকে আয়নায় দেখুক স্টোকস!’

এখানে খান্ত হননি সাবেক এই ইংলিশ অধিনায়ক। কড়া সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে সে যেটা করছে, তা থেকে সে বেরিয়ে আসতে পারছে না। তার জন্য দুশ্চিন্তা করতেই হবে আমাদের। এখন সময় এসেছে, এই বিষয় গুলো নিয়ে তার ভাবার। সে কি করছে।’

এর আগে ২০১২ সালে একবার তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। সে সময় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল সতর্ক করে। কিন্তু খুব বেশি সতর্ক হননি স্টোকস। পরের বছরই আবার পুলিশের হাতে ধরা পড়েন অনেক রাতে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর দায়ে। ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেও নিজের নাম প্রত্যাহার করতে হয়েছিল স্টোকসকে। কারণ, রাগের মাথায় দেয়ালে ঘুষি মেরে তিনি পড়েছিলেন ইনজুরির কবলে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় মাঠের মধ্যে প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারের সঙ্গে বচসায় লিপ্ত হন এই অলরাউন্ডার।