তবুও হতাশ নন এলগার
২০১২ সালে অভিষেকের কিছুদিন পরেই দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান ব্যাটসম্যানে পরিণত হয়েছেন ডিন এলগার। ৩৯ টেস্টের ছোট্ট ক্যারিয়ারে আটটি শতক ও সমানসংখ্যক হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন তিনি। ডাবল সেঞ্চুরি নেই একটিও। সুযোগ ছিল প্রথম দ্বিশতক হাঁকানোর। তবে পারলেন না। ১৯৯ রানেই থেমে যেতে হলো তাঁকে। তবে তাতে খুব একটা হতাশ নন এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। জানালেন, তাঁর ডাবল সেঞ্চুরি মিস করাটা ক্রিকেটের আর দশটা সাধারণ ঘটনার মতোই।
পচেফস্ট্রুম টেস্টে দেড় দিন ধরে বাংলাদেশের বোলারদের শাসন করেন এলগার। ডাবল সেঞ্চুরির খুব কাছেই ছিলেন। ব্যক্তিগত ১৯৯ রানে মুস্তাফিজের বলটা ঠিকমতো খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে শূন্যে উঠে যায় বলটি। মমিনুল হক ক্যাচ ছেড়ে দেওয়ার বোকামি করেননি। টেস্টে দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১৯৯ রানে আউট হলেন এলগার।
দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের চেয়ে ৩৬৯ রানে এগিয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ডিন এলগার। ম্যাচের চেয়ে সংবাদমাধ্যমের বেশি আগ্রহ ছিল তাঁর ডাবল সেঞ্চুরি মিসের বিষয়টি। তবে এলগার জানালেন, ডাবল সেঞ্চুরি না হওয়ায় অতৃপ্তি নেই তাঁর। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ডাবল সেঞ্চুরি হলে ভালো লাগত। তবে না হওয়ায় মন খারাপ হয়নি আমার। ক্রিকেটে এগুলো হয়ে থাকে।’
নিজের ডাবল সেঞ্চুরি মিসের চেয়ে এইডেন মার্করামের সেঞ্চুরি মিস করাটাই বেশি ভোগাচ্ছে তাঁকে। ৯৭ রানে আউট হন মার্করাম। এলগারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণেই সাজঘরে ফিরতে হয় মার্করামকে। এই প্রসঙ্গে এলগার বলেন, ‘সে (মার্করাম) সেঞ্চুরি না পাওয়ায় খুব খারাপ লেগেছে আমার। দারুণ খেলছিল সে। আমাদের জুটিটাও দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল। তার সেঞ্চুরিটা পাওয়া উচিত ছিল।’