অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ স্টোকস-হেলস
বেন স্টোকসের উন্মত্ততার কথা অজানা নয় কারোরই। মাঠে ও মাঠের বাইরে সব সময় আলোচনার কেন্দ্রে থাকতে পছন্দ করেন এই ইংলিশ ক্রিকেটার। অসম্ভব প্রতিভাশালী হলেও খারাপ আচরণের কারণে অনেকেই পছন্দ করেন না তাঁকে। সম্প্রতি নিজের বাজে ব্যবহারের কারণে আবার আলোচনায় এসেছেন এই অলরাউন্ডার। ব্রিস্টলের একটি নাইটক্লাবে মারামারির ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। কেবল স্টোকসই নন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে ওপেনার অ্যালেক্স হেলসও নিষিদ্ধ হয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত গত সোমবার রাতে। সেদিন রাতে একটি নাইটক্লাবে যান স্টোকস ও হেলস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে জয়টা উদযাপন করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। রাত আড়াইটার দিকে পানশালা থেকে বের হওয়ার সময় কয়েকজন যুবকের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন স্টোকস। এরপরই দুজনকে বেদম প্রহার করেন স্টোকস।
এক ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সেই রাতে ঘুষি মেরে দুজনকে জখম করেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। এ ঘটনায় আঙুল ভেঙে গেছে তাঁর। অ্যালেক্স হেলস তখন পাশেই ছিলেন। আহত একজনকে সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর স্টোকস ও হেলসকে আটক করে পুলিশ।
মারামারিতে জড়িত থাকায় হেলস ও স্টোকসকে চতুর্থ ওয়ানডের দলে রাখেনি ইংল্যান্ড। ভিডিও ফুটেজ প্রকাশিত হওয়ার পর এই দুজনকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করল ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
এক বিবৃতিতে ইসিবি জানিয়েছে, ‘ঘটনার পূর্ণ তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এই দুজনকে দলের বাইরে রাখা হবে।’ এর ফলে আসন্ন অ্যাশেজে বেন স্টোকসের খেলা সংশয়ে পড়ে গেল। অ্যাশেজের জন্য ঘোষিত দলে রয়েছেন স্টোকস। তবে পাঁচ ম্যাচের এই মহাগুরুত্বপূর্ণ সিরিজে তাঁকে না দেখার সম্ভাবনাই বেশি।
শৃঙ্খলাজনিত কারণে এর আগে বেন স্টোকসের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২০১২ সালে একবার তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। সে সময় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল সতর্ক করে। কিন্তু খুব বেশি সতর্ক হননি স্টোকস। পরের বছরেই আবার পুলিশের হাতে ধরা পড়েন অনেক রাতে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর দায়ে। ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেও নিজের নাম প্রত্যাহার করতে হয়েছিল স্টোকসকে। কারণ, রাগের মাথায় দেয়ালে ঘুষি মেরে তিনি পড়েছিলেন ইনজুরির কবলে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় মাঠের মধ্যে প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারের সঙ্গে বচসায় লিপ্ত হন এই অলরাউন্ডার।