প্রথম দিনটি হতাশায় কাটল বাংলাদেশের
সাকিব আল হাসানের অভাবটা ভালোভাবেই টের পেলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। পচেফস্ট্রুমে নখদর্পহীন টাইগার বোলিং লাইনআপ খুব একটা সমস্যায় ফেলতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের। প্রথম দিনটায় বাংলাদেশের বোলারদের হতাশায় ডুবিয়েছেন ডিন এলগার, এইডেন মার্করাম ও হাশিম আমলা। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে এক উইকেটে ২৯৮ রান তুলে নিয়েছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। এলগার ১২৮ ও হাশিম আমলা ৬৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের ব্যাটিং শুরু করবেন।
প্রথম দিনে বাংলাদেশের বোলারদের হাসতে দেননি প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। একমাত্র সফলতা বলতে মেহেদী হাসান মিরাজ রান আউট করেন মার্করামকে। তাতে অবশ্য বাংলাদেশের সাফল্য নেই বিন্দুমাত্র। এলগারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন এই ম্যাচে অভিষিক্ত মার্করাম। ৯৭ রান করেন এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান।
আজ দিনের শুরুটা ভালোই হয়েছিল বাংলাদেশের। টস জিতেছিলেন টাইগার দলপতি মুশফিকুর রহিম। টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান মুশি। ওইটুকুই। এরপর দিনের বাকি গল্পটুকু দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং বীরত্বের। উদ্বোধনী জুটিতে ১৯৬ রান যোগ করে বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন এলগার ও মার্করাম।
চা-বিরতির ঠিক কিছুক্ষণ আগে দিনের প্রথম সফলতা পায় বাংলাদেশ। মার্করামকে রান আউট করে ফেরত পাঠান মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৫২ বলে ৯৭ রান করেন অভিষিক্ত এই ব্যাটসম্যান। এরপর আরো ১০২ রান যোগ করেন এলগার ও হাশিম আমলা।
প্রথম দিন তিনটি সেশন মিলিয়ে বাংলাদেশের বোলাররা কেবল একটি মাত্র উইকেট নিতে পেরেছেন। বলাই বাহুল্য, পেসবান্ধব উইকেটে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের ওপর এখন পর্যন্ত কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি মুস্তাফিজ-শফিউল-মিরাজরা।
আজ ম্যাচের শুরুতেই টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। প্রোটিয়াদের হয়ে ব্যাটিংয়ের শুরুটা করেন এইডেন মার্করাম ও ডিন এলগার। শুরুটা সাবধানের সঙ্গেই করে স্বাগতিকরা। প্রথম সেশনে কোনো উইকেট হারায়নি দলটি। বিনা উইকেটে ৯৯ রান নিয়ে মধ্যাহ্নভোজনে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বিরতির পরও বাংলাদেশের বোলারদের ওপর আধিপত্য ধরে রাখেন প্রোটিয়া ওপেনাররা। কেবল তাই নয়, পরের দুটি সেশনও নিজেদের পক্ষে নিয়ে নেয় স্বাগতিকরা।
এর আগে তিনজন পেসার নিয়ে দল সাজিয়েছে বাংলাদেশ। মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদের সঙ্গে আছেন অভিজ্ঞ পেসার শফিউল ইসলাম।
ব্যাটিং অর্ডারেও এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন। বাদ পড়েছেন ওপেনার সৌম্য সরকার। তামিম ইকবালের সঙ্গে ব্যাটিংয়ের সূচনা করতে দেখা যাবে ইমরুল কায়েসকে। দলে ফিরেছেন মুমিনুল হক ও মাহমুদউল্লাহ। স্পেশালিস্ট উইকেটরক্ষক হিসেবে দলে নেওয়া হয়েছে লিটন দাসকে।
চার পেসার নিয়ে নেমেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। মরনে মরকেল ও কাগিসো রাবাদার সঙ্গে ডুয়েন অলিভারকে পেস বোলিং বিভাগের দায়িত্ব সামলাতে হবে। চতুর্থ পেসার হিসেবে অভিষেক হয় অ্যানদিলে ফেলুকায়োর।