বাংলাদেশের অপেক্ষায় পচেফস্ট্রুমের বাউন্সি উইকেট
টেস্ট র্যাংকিংয়ের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের বিপক্ষে হারলেই অবনমন হতে পারে দলটির। বিষয়টি ভালোভাবেই মাথায় রয়েছে ফাফ ডু প্লেসিসের। সেই কারণেই জয়ের বিষয়ে কোনো প্রকার ঝুঁকি নিতে নারাজ দেশটি। সিমিং কন্ডিশনে বাংলাদেশের চিরায়ত দুর্বলতার কথা অজানা নয় প্রোটিয়াদের। তাই দ্রুতগতির উইকেটেই টাইগার ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নিতে চায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেভাবেই প্রস্তুত হয়েছে পচেফস্ট্রুমের উইকেট।
২০০২ সালে এই মাঠেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। সেবার জ্যাক ক্যালিস-মাখায়া এনটিনিদের কাছে বিপর্যস্ত হয়েছিল হাবিুল বাশার–আল শাহরিয়াররা। ২০০৮ সালে ওয়ানডেতেও টাইগারদের পেস ও সুইংয়ে ভোগান ডেল স্টেইন। এবারও বাউন্সি উইকেটে মরকেল-রাবাদাদের সামনে পরীক্ষা দিতে হবে তামিম-সৌম্যদের।
পচেফস্ট্রুমের এই মাঠ বরাবরই পেসবান্ধব। বিষয়টি স্বীকার করেন প্রোটিয়া পেসার রাবাদা বলেন, ‘এই উইকেটে বোলাররা ভালো করবে। বেশ বাউন্স রয়েছে, সঙ্গে দারুণ গতিও থাকছে। তবে মাঠে নামার আগে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।
কন্ডিশন দেখে মনে হচ্ছে, মরনে মরকেল ও কাগিসো রাবাদার সঙ্গে ডুয়েন অলিভারকে পেস বোলিং বিভাগের দায়িত্ব সামলাতে হবে। চতুর্থ পেসার হিসেবে পারনেলকেও দেখা যেতে পারে। স্পিন বিভাগের দায়িত্ব সামলাবেন কেশব মহারাজ।
পচেফস্ট্রুমের উইকেট দেখে ধারণা করা হচ্ছে, চার পেসার খেলাতে পারে বাংলাদেশও। মুস্তিফজের সঙ্গী হিসেবে তাসকিন, রুবেল ও শফিউলকে দেখা যেতে পারে। একমাত্র স্পিনার হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজের খেলার সম্ভাবনাই বেশি।
এর আগে অনুশীলন উইকেটে পেসারদের খেলতে গলদঘর্ম হয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। দেখা যাক, ম্যাচে মরকেল-রাবাদাদের কীভাবে সামলান তামিম-সাব্বিররা।