বোলিং প্রস্তুতিটাও ভালোই হচ্ছে বাংলাদেশের
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে শুরুটা ভালোই হয়েছে বাংলাদেশের। তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে প্রথমে ভালো নৈপুণ্যই দেখিয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, সাব্বির রহমানরা খেলেছেন অর্ধশতকের ইনিংস। ৭ উইকেটে ৩০৬ রান সংগ্রহ করে প্রথম ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেছিল টাইগাররা। এরপর বল হাতেও নজর কাড়ছেন মুস্তাফিজ-তাসকিনরা। স্কোরবোর্ডে ১১০ রান জমা করতেই পাঁচটি উইকেট হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড একাদশ। এই প্রতিবেদন লেখার সময় স্বাগতিকদের স্কোর : ১৫১/৫।
বাংলাদেশের করা ৩০৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ। ষষ্ঠ ওভারে রানআউটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরতে হয়েছিল ওপেনার আইজাক ডিকগালেকে। আরেক ওপেনার ইয়াসিন ভাল্লিও খুব বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি উইকেটে। ১০ রান করে ফিরে গেছেন শুভাশীষ রায়ের শিকার হয়ে। কয়েক ওভার পরে লেউস দু প্লয়কে ফিরিয়েছেন শফিউল ইসলাম। ১৬ রান করে মুস্তাফিজের শিকার হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশের অধিনায়ক হেনরিক ক্লাসেন। ৬০ রানের ইনিংস খেলে একাই প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন জুবায়ের হামজা। ইনিংসের ৩৭তম ওভারে তাঁকে সাজঘরমুখী করেছেন তাসকিন আহমেদ।
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে পেসাররাই যে মনোযোগের কেন্দ্রে থাকবেন, সেই ইঙ্গিত ভালোমতোই পাওয়া যাচ্ছে প্রস্তুতি ম্যাচে। এখন পর্যন্ত একটি রানআউট বাদে প্রোটিয়াদের বাকি চারটি উইকেটই গেছে পেসারদের ঝুলিতে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ৩০৬ রান সংগ্রহ করে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেছিলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। মাহমুদউল্লাহ ও লিটন দাস ছাড়া বাংলাদেশের সব ব্যাটসম্যানই প্রস্তুতি পর্বটা সেরেছেন ভালোভাবেই। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই আউট হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। লিটন দাসকেও ফিরতে হয়েছে রানের খাতা না খুলেই। আর ওপেনার তামিম ইকবাল ইনিংসের শুরুতেই স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে ফিরে গিয়েছিলেন চোটের কারণে। তবে আশার কথা, তামিমের এই চোট গুরুতর কিছু নয়। টেস্ট সিরিজের শুরুতেই আবার মাঠে ফিরতে পারবেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংসটি খেলেছেন মুমিনুল। অধিনায়ক মুশফিক করেছেন ৬৩ রান। ওপেনার সৌম্য সরকারও প্রস্তুতি ম্যাচে ইঙ্গিত দিয়েছেন ফর্মে ফেরার। করেছেন ৪৩ রান। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ইমরুল কায়েস করেছেন ৩৪ রান। ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণার আগে ৫৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন সাব্বির। ইনিংসের শেষপর্যায়ে ব্যাটিংয়ে নেমে খুব একটা খারাপ করেননি মেহেদী হাসান মিরাজও। ডানহাতি এই তরুণ অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে এসেছে ১৮ রান।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ।