পরীক্ষিতদের নিয়েই মিশন দক্ষিণ আফ্রিকা
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। বিশ্রামের কারণে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ও দলের প্রাণভোমরা সাকিব আল হাসানকে দলের বাইরে রেখেই দক্ষিণ আফ্রিকা যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। তবে মাহমুদউল্লাহ ও রুবেল হোসেনের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের ফেরানোটা দলের জন্য সুখবরই বটে।
উপমহাদেশের মাটিতে ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডকে হারানোর পর শ্রীলঙ্কায় গিয়ে সিরিজ ড্র করেছেন মুশফিক-সাকিবরা। এরপর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার মতো বিশ্বসেরা দলকে কুপোকাত করেছে টাইগাররা। এবার বিদেশের মাটিতে ভালো করার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে তামিমদের।
এ বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচেই কিউইদের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। নিউজিল্যান্ডের সিমিং উইকেটে প্রতিপক্ষের বোলারদের সঙ্গে পেরে ওঠেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। সেবার প্রথম টেস্টে ৫৯৫ রান করেও হেরেছিল লাল-সবুজের দেশ। দ্বিতীয় টেস্টেও ভালো ব্যাটিং করতে পারেননি সাকিব-তামিমরা। এরপর ভারত সফরেও সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ।
প্রায় নয় বছর পর বাংলাদেশ আবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাচ্ছে। সেবার অবশ্য প্রোটিয়ার বিপক্ষে নাজেহাল হতে হয়েছিল মুশফিকদের। দুই টেস্টেই বাংলাদেশকে ইনিংস ব্যবধানে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রায় এক দশক পর দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে সফরটাকে স্মরণীয় করে রাখতে চাইবেন টাইগাররা।
সাকিব না থাকায় প্রতিটি বিভাগেই বাকিদের দায়িত্বটা বেড়ে যাবে। ব্যাট হাতে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে তামিম-মুশফিক-রিয়াদদের। আর বল হাতে তাইজুল-মিরাজদের আরো বেশি পরিশ্রম করতে হবে। সাকিব না থাকাটা দলের জন্য অন্যরকম চ্যালেঞ্জের। মিরাজ-সাব্বির-সৌম্যরা যদি সাকিবের অভাবটা পুষিয়ে দিতে পারেন তাহলে আরো গতিময় হবে দেশের ক্রিকেট। আর টেস্টে বিদেশের মাটির জুজুটাও তো কাটাতে হবে বাংলাদেশকে।