তবুও টিকে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আশা
লর্ডসের পেস বান্ধব উইকেটে ইংল্যান্ডকেও খুব একটা স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে ক্যারিবীয়দের ১২৩ রানের জবাবে ইংল্যান্ডের প্রথম দফার ব্যাটিং শেষ হয় ১৯৪ রানে। বল হাতে দুর্দান্ত করা বেন স্টোকস ব্যাট হাতেও ত্রাতা হয়ে ওঠেন। এই অলরাউন্ডারের দারুণ ব্যাটিংয়ের কারণেই ইংল্যান্ডের স্কোরটা ২০০ ছুঁইছুঁই করেছে। ব্যাট হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে আবার ভাঙনের মুখে রয়েছে ক্যারিবীয় ব্যাটিং লাইন আপ। তবে আগের টেস্টে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করা সাই হোপের কারণে এখনো বেঁচে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আশা।
এর আগে লর্ডসের প্রথম দিনে ইংল্যান্ডের পেসারদের দাপটে ১২৩ রানেই অলআউট হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বেন স্টোকস একাই নেন ছয় উইকেট। দিনশেষে দাপট দেখাতে শুরু করে ক্যারিবীয় পেসাররা। তাতে ৪৬ রানে চার উইকেট হারিয়ে ভালো ছিল না ইংল্যান্ডও।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ডেভিড মালানকে ফেরান কেমার রোচ। এরপর জনি বেয়ারস্টো ও বেন স্টোকস মিলেন ইংল্যোন্ডের ইনিংসটাকে সামলানোর চেষ্টা করেন। এই দুজন যোগ করেন ৫৬ রান। দলীয় ১১৯ রানে বেয়ারস্টো ফেরার খানিকবাদে স্টোকসও ফিরে যান। এরপর মঈন আলীও দ্রুত ফিরে আসলে দেড়শ রানের মধ্যে গুটিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় ইংলিশ শিবিরে। তবে স্টুয়ার্ট ব্রডের ৩৮ ও রোলান্ড জোন্সের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত ১৯৪ রানে মাঝারি সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আবার অস্বস্তিতে পড়ে ইংল্যান্ড। ২১ রানের মধ্যেই ব্রাফেট ও কাইল হোপকে ফেরান ইংলিশ পেসাররা। এরপর কাইরন পাওয়েল ইংলিশ বোলারদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। মাত্র ৭৩ বলে ৪৫ রান করে পাওয়েল ফিরে যান। তবে দিনের শেষ দিকে সাই হোপের ব্যাটিং দৃঢ়তায় আর কোনো উইকেট হারায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস : ৫৭.৩ ওভার ১২৩ (পাওয়েল ৩৯, শাই ২৯, চেজ ১৮, ব্র্যাফেট ১০, হোল্ডার ৯, বিশু ১৩*; স্টোকস ৬/২২, অ্যান্ডারসন ২/৩১, রোল্যান্ড-জোন্স ২/৩২)
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস : ৫২.৫ ওভারে ১৯৪ (স্টোকস ৬০, স্টুয়ার্ট ব্রড ৩৮, বেয়ারস্টো ২১, মালান ২০, রোচ ৫/৭২ হোল্ডার ৪/৫৪)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস : ৩১ ওভার ৯৩/৩ (পাওয়েল ৪৫, হোপ ৩৫, ব্রাফেট ৪; অ্যান্ডারসন ২/১৭, ব্রড ১/২৫)