চট্টগ্রামে কি তিন স্পিনার খেলাবে অস্ট্রেলিয়া?
ইংল্যান্ডের হারটাকে শিক্ষা হিসেবে নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। গত বছর বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে তিন স্পিনার নিয়েই জিতেছিল ইংল্যান্ড। পরের টেস্টে অভিজ্ঞ গ্যারেথ বাটিকে বসিয়ে আনকোরা জাফর আনসারিকে মাঠে নামিয়ে দেয় সফরকারীরা। টাইগারদের কাছে ১০৮ রানে হেরে সেই ভুলের মাশুলও দেয় ইংল্যান্ড। কয়েক মাসের ব্যবধানে বাংলাদেশ সফরে এসে সেই একই ভুল করল অস্ট্রেলিয়াও। বাংলাদেশ যেখানে তিনজন বিশেষজ্ঞ ও দুজন পার্টটাইম মোট পাঁচজন স্পিনার নিয়ে মাঠে নামে সেখানে অস্ট্রেলিয়া কেবল দুজন স্পেশালিস্ট স্পিনার নিয়ে মাঠে নামার সাহস দেখায়। মিরপুরে ২০ রানে হেরে ভুলের মাশুল দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
চট্টগ্রামে বাঁচামরার ম্যাচে হয়তো এই ভুল আর করবে না সফরকারীরা। শোনা যাচ্ছে, নাথান লায়ন, অ্যাশটন অ্যাগারের সঙ্গে স্টিফেন ও’কিফকেও মাঠে নামাতে পারে ড্যারেল লেহম্যান। সম্ভব হলে উইকেটক্ষক ম্যাথু ওয়েডকে সরিয়ে মিচেল সোয়েপসনকেও খেলাতে পারে দলটি। চট্টগ্রামে তিন স্পিনার খেলানোর কথা উড়িয়ে দিচ্ছেন না অস্ট্রেলিয়ার কোচ লেহম্যান।
অসি কোচ বলেন, ‘আমরা প্রথমে উইকেট ও কন্ডিশন দেখব। এরপর দুজন পেসার বা তিন স্পিনার খেলানোর কথা ভাবা হবে। তবে দলের জন্য যেটা ভালো হবে সেটাই করব আমরা।’
তিন স্পিনার খেলানোর সম্ভাবনা প্রসঙ্গে টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের উদাহরণ টেনে অস্ট্রেলিয়ার কোচ বলেন, ‘বাংলাদেশও কিন্তু মুস্তাফিজকে দিয়ে খুব বেশি বল করায়নি। আমরাও পেসার দিয়ে খুব বেশি বল করাইনি। মিরপুরের মতো এখানেও টার্নিং উইকেট হবে আশা করছি। উইকেটই বলে দেবে আমাদের কী করতে হবে।’
প্রথম টেস্টে খারাপ পারফর্ম করায় চট্টগ্রামে দলে জায়গা নাও পেতে পারেন উসমান খাজা। জস হ্যাজেলউডের জায়গায় শন মার্শকে অস্ট্রেলিয়া দলে নেওয়া হতে পারে। তেমনটা হলে খাজার জায়গায় শন মার্শকে দেখা যেতে পারে। কারণ স্পিন বোলারদের মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে খাজার চেয়ে অনেক এগিয়ে শন মার্শ। এই প্রসঙ্গে লেহম্যান বলেন, প্রথম টেস্টে তাঁর (খাজা) পারফরম্যান্স আমাদের হতাশ করেছে। আমরা জানি সে অনেক ভালো ব্যাটসম্যান। দেখা যাক কী হয়।’