সংবাদ সম্মেলনে আলোচনায় শুধু মুমিনুল!
অভিষেকের পর থেকেই বাংলাদেশ টেস্ট দলে নিয়মিত মুখ মুমিনুল হক। এরপর ১২ টেস্টে চারটি সেঞ্চুরি ও সাতটি হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। টানা ১১ টেস্টে পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে নিজেকে দাঁড় করান ভিভ রিচার্ডস, বীরেন্দর শেবাগ ও গৌতম গম্ভীরের মতো ব্যাটসম্যানদের কাতারে। তবে এরপরই কিছুটা বিবর্ণ তাঁর পারফরম্যান্স। সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না। তাই কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের একাদশে জায়গা হয়নি তাঁর।
মুমিনুল এবার ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দল থেকেই বাদ পড়েন। ঘরের রেকর্ড বেশ উজ্জ্বল হলেও কেন বাদ পড়লেন তিনি, তা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তোপের মুখে পড়তে হয় প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে।
বাদ পড়ার কারণ সম্পর্কে মিনহাজুল আবেদীন বলেন, ‘গত জানুয়ারি থেকে এই আগস্ট পর্যন্ত মুমিনুলের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো ছিল না। আমাদের কাছে যে পরিসংখ্যান আছে, শ্রীলঙ্কা সিরিজ পর্যন্ত ছয় ইনিংসে তাঁর মাত্র একটি মাত্র হাফ সেঞ্চুরি। এ কারণেই দলে রাখা হয়নি তাঁকে। তারপরও সে আমাদের পরিকল্পনায় আছে।’
মুমিনুলের তুলনায় সৌম্য ও ইমরুলকে এগিয়ে রেখেছেন প্রধান নির্বাচক, ‘মুমিনুল যে জায়গায় ব্যাট করছে, সেখানে আমাদের সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েস এগিয়ে আছে। সৌম্যর আট ইনিংসের চারটিতে হাফ সেঞ্চুরি করেছে। আর ইমরুলের পারফরম্যান্সও বেশ ভালো। তা ছাড়া অনেক কিছু আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
আপনার এই সিদ্ধান্ত সমালোচিত হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘মুমিনুলের ব্যাপারে আপনারা তাঁর পরিসংখ্যানের দিকে যাচ্ছেন না। যেভাবে তাঁর ক্যারিয়ার শুরু করেছিল, এখন সে জায়গায় নেই। এভাবে আমাকে বলাটা ঠিক হবে না।’
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেন, ‘যারা দলে নেই, তারা একেবারেই দলের বাইরে চলে যায়নি। তবে আমরা নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড়কে প্রাধান্য দিই না। প্রাধান্য দিই বাংলাদেশ দলকে। তবে বাদ কেউ পড়েছে মানেই তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়নি।’