কোচের বিরুদ্ধে উমর আকমলের গুরুতর অভিযোগ!
একটা সময় পাকিস্তান ক্রিকেট দলের মিডল অর্ডারে উমর আকমলের বিকল্প কেউ ছিল না। একা হাতে দেশকে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। তবে ফর্মহীনতা ও লাগামহীন মন্তব্যের কারণে অনেকের চক্ষুশূল হয়ে পড়েন তিনি। একটা সময় জাতীয় দলে নিজের জায়গা হারিয়ে ফেলেন উমর আকমল। আবার জাতীয় দলে ফিরতে বদ্ধ পরিকর এই ক্রিকেটার। এবার শোনা গেল আরেকটি খবর, কোচ মিকি আর্থারের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ এনেছেন তিনি।
পাকিস্তানের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে রীতিমতো বোমা ফাটালেন উমর আকমল। তাঁর অভিযোগ, কোচ মিকি আর্থার নাকি তাঁকে গালাগাল করেছেন। কেবল তাই নয়, রীতিমতো অপমানও করা হয়েছে তাঁকে। এ ব্যাপারে উমর বলেন, ‘হ্যাঁ, মিকি আর্থার আমাকে গালাগাল করেছেন। ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে এই ঘটনার সাক্ষী ইনজামাম ও সাকলায়েন মুশতাক ভাই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দলে নেওয়া হয়নি তাঁকে। এমনকি পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও বাদ পড়ে যান উমর।
এরপর হাঁটুর ইনজুরির ইংল্যান্ডে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলেন উমর আকমল। সুস্থ হয়ে দেশে ফেরার পর অনুশীলনে যোগ দিতে যান তিনি। তবে তাঁকে অনুশীলন করাতে রাজি হননি প্রধান কোচ আর্থার। উমর বলেন, ‘প্রথমে আমি যখন গ্রান্ট ফ্লাওয়ারের সঙ্গে দেখা করি। এরপর ফিজিও গ্রান্ট লুডেনের সঙ্গে। তবে ফিজিও আমাকে দলের সঙ্গে নিতে অস্বীকৃতি জানান। চুক্তির বাইরে থাকা খেলোয়াড়দের অনুশীলন করানো হবে না বলে জানান তিনি। এরপর আমি মিকির সঙ্গে দেখা করি, তিনিও একই কথা বলেন। উপায় না দেখে আমি ইনজি ভাই সাকলায়েন মুশতাক ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। তাঁরা আমাকে বোঝান যে, আমার ফিটনেস লেভেলটা খুব একটা ভালো নয়। আমাকে ফিটনেট নিয়ে কাজ করতে হবে। এটা শুনে দ্বিতীয়বারের মতো মিকির কাছে আসি আমি। তিনি আমাকে ক্লাব ক্রিকেটে খেলতে বলেন। এর পরই তিনি অকথ্য একটা ভাষা ব্যহার করেন। আমি সবকিছু সহ্য করতে পারি তবে এই শব্দটা সহ্যের বাইরে ছিল।
উমর আকমলের বক্তব্য মিডিয়া লুফে নিলেও বিষয়টাকে ভালো চোখে দেখছে না পিসিবি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘উমর আকমল বোর্ডের চুক্তিতে নেই তবে এখনো বোর্ডের কাছ থেকে সম্মানী পান তিনি। তাই মিডিয়াতে এভাবে কথা বলতে পারেন না তিনি।’
জবাবে উমর আকমল বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাদ পড়ার পর আমি কি কাউকে অভিযোগ করেছি? আমি সেটা মেনে নিয়েছি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলেও আমাকে নেওয়া হয়নি তবুও চুপ ছিলাম। নিজের ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি নিজেকে ফিরে পাওয়ার জন্য। তবে কোচের এমন আচরণের পর আমি আর চুপ থাকতে পারিনি।’