রোমেল লোকাকুর পেছনে লেগে ছিল চেলসি। শেষ পর্যন্ত বেলজিয়ামের ফরোয়ার্ড যোগ দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। এরপর বরুসিয়া ডর্টমুন্ড স্ট্রাইকার পিয়ের এমরিক আবুমেয়ংকে পেতেও অনেক ঘাম ঝড়ায় ব্লুজরা। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁকেও পায়নি চেলসি। এরপর আলভারো মোরাতার পেছনে দলবেঁধে লেগে যায় দলটি। এবার আর পছন্দের ফুটবলারটি হাতছাড়া হয়নি। ৭৫ মিলিয়ন পাউন্ডে রিয়ালের এই তারকাকে কিনে নিয়েছে অ্যান্তনিও কন্তের দল। মোরাতার সঙ্গে ৫ বছরের চুক্তি করেছে চেলসি। 

নিজেদের ওয়েবসাইটে চেলসি কতৃপক্ষ জানায়, ‘মোরতাকে স্টামফোর্ডে আনার ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছানো গেছে। ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার রিয়ালকে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতাতে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন। তার মতো কাউকে দলে পেয়ে দারুণ খুশি আমরা।’

চেলসির সঙ্গে চুক্তি হতেই মেডিক্যাল পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য লন্ডনে পৌঁছেছেন এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। বৃহস্পতিবার হিথ্রো বিমানবন্দরে নামেন মোরাতা। রিয়াল থেকে বের হতে না হতেই চেলসিতে বিশ্বের সেরা দল বলে ঘোষণা দিলেন তিনি। এই তারকা ফুটবলার বলেন, ‘চেলসি বিশ্বের সেরা ক্লাব আর ইউরোপিয়ান লিগ বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় লিগ। এখানে আসতে পেরে দারুণ খুশি আমি। কন্তের মতো সেরা কোচের সঙ্গে কাজি করাটা সৌভাগ্যের।
 
এই মোরাতা কিন্তু এই রিয়াল মাদ্রিদেরই আবিস্কার। বড় হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের বয়সভিত্তিক দলে। স্পেনের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ ও অনূর্ধ্ব ২১ ইউরোপীয় কাপের শিরোপা জিতেছেন। হয়েছেন সেরা গোলদাতা। ২০১১ সালে রিয়ালের হয়ে অভিষেক হয় তাঁর। এরপর ২০১৪ সালে ধারে জুভেন্টাসে খেলেন তিনি। এখানেই সত্যিকারের নায়ক হয়ে ওঠেন মোরাতা। তুরিনের ওল্ড লেডিদের হয়ে জিতেছেন পাঁচটি শিরোপা। লিগ শিরোপা জেতানোর পাশাপশি দলকে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালেও নিয়ে যান তিনি। সেবার অবশ্য শিরোপা জেতা হয়ান তাঁর। পরের বছর রিয়ালের হয়ে সেই আক্ষেপ মিটিয়েছেন মোরাতা।