নারী-পুরুষে এত বৈষম্য!
কয়েকদিন আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতে দেশে ফিরে বীরোচিত সম্মাননা পান সরফরাজ আহমেদ-ফখর জামানরা। মানুষের ভিড়ে বিমানবন্দর থেকে ঘরে ফিরতে জান কাহিল হয়ে যায় পুরুষ ক্রিকেটারদের। অথচ সে দেশটির নারী ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে ঘটল উল্টো ঘটনা। নারী বিশ্বকাপ খেলে দেশে ফিরে ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে বাড়ি ফেরার জন্য একটি গাড়িও পেলেন না সানা মীর-বিসমাহ মারুফরা। অগত্যা মোটরসাইকেল, সিএনজিতে চেপে ঘরে ফিরেছেন পাক নারী ক্রিকেটাররা।
সম্প্রতি নারী ক্রিকেটারদের ঘরে ফেরা নিয়ে বিড়ম্বনায় সোচ্চার হয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো। এবারের বিশ্বকাপে সাতটি ম্যাচের সবগুলোতে হেরে যায় পাকিস্তানের নারীরা। ভয়াবহ খারাপ ফল করায় ক্রিকেটারদের ওপর দারুণ চটেছেন দেশটির ক্রিকেট বোর্ড প্রধান শাহরিয়ার খান। শোনা যাচ্ছে, বিশ্বকাপে দল সব ম্যাচ হারায় অধিনায়কত্ব হারাতে পারেন সানা মীর। সবই না হয় ঠিক আছে তাই বলে, দেশকে ক্রিকেটের সর্বোচ্চপর্যায়ে প্রতিনিধিত্বকারী একা নারীরা মোটরসাইকেলে করে ঘরে ফিরবেন!
বিশ্বকাপের পর বিমানবন্দর থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে ফিরেছেন বাঁহাতি স্পিনার নাশরা সান্ধু। দেশটির সামা টিভিতে দেখানো এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিমানবন্দর থেকে মোটরসাইকেলে চেপে নিজ ঘরে ফিরছেন পাঞ্জাবের এই ক্রিকেটার। ক্যামেরা দেখে লজ্জায় বেশ কয়েকবার মুখ লুকাচ্ছিলেন এই নারী।
ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফেরার পর সব ক্রিকেটাররাই নাকি নিজেদের মতো করে ঘরে ফিরেছেন। তাদের জন্য কোনো ব্যবস্থা রাখেনি পিসিবি। এ নিয়ে পাকিস্তানের গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে বেশ সমালোচনা চলছে। বাংলাদেশেও ঘঠে এমন ঘটনা। ঈদের ছুটিতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দলকে লোকাল বাসে করে বাড়িতে পাঠায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এরপর সিঙ্গাপুর থেকে প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে ঢাকায় ফিরে ট্রেনে চেপে ময়মনসিংহে যায় অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবলের তিন তারকা মার্জিয়া, নাজমা ও শামছুন নাহার।