চিলির সামনে মেসির চ্যালেঞ্জ
আন্তর্জাতিক ফুটবলে পেনাল্টি ছাড়া দীর্ঘ ৯০০ মিনিটেরও বেশি সময় লিওনেল মেসি গোল করতে পারেননি। তবে তাঁর উপস্থিতি যথারীতি কাঁপন ধরিয়ে দিচ্ছে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে। কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ৬-১ গোলের জয়ে বিরাট অবদান আর্জেন্টাইন অধিনায়কের। ছয় গোলের চারটিরই নেপথ্য রূপকার তিনি। এ সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে আটকে রাখাই প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ।
সেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি এবার স্বাগতিক দল। কোপা আমেরিকায় প্রথম শিরোপা জিততে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ চিলির ডিফেন্ডারদের সামলাতে হবে চারবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারকে। চিলির অধিনায়ক ও মেসির বার্সা সতীর্থ ক্লদিও ব্রাভো অবশ্য মেসির ওপর আলাদাভাবে নজর দেওয়ার পক্ষে নন। তিনি বরং নিজেদের সহজাত খেলার ওপরেই বেশি জোর দিচ্ছেন, ‘মেসিকে আটকানো সহজ নয়। তাঁর ক্যারিয়ারের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে তিনি কী অসাধারণ খেলোয়াড়! কিন্তু আমরা পুরো ৯০ মিনিট তাঁর পেছনে একজনকে লাগিয়ে রাখতে পারব না। তিনি শুধু একাই খেলবেন না। আমাদের পুরো আর্জেন্টিনা দল নিয়েই ভাবতে হবে, শুধু মেসি নয়।’
ফাইনালে মেসির সঙ্গে ‘পিটবুল’ নামে কুখ্যাত চিলিয়ান ডিফেন্ডার গ্যারি মেডেলের জমজমাট লড়াই হওয়ারই কথা। মাঠের মধ্যে কড়া ট্যাকলিং আর মাঠের বাইরে একাধিক বিতর্কিত ঘটনায় জড়িয়ে পড়ার কারণে অনেকদিন ধরেই সমালোচিত হচ্ছেন মেডেল। স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়ার হয়ে খেলার সময় আতলেতিকো মাদ্রিদের সে সময়ের স্ট্রাইকার দিয়েগো কস্তাকে চড় মেরে লালকার্ড পেয়েছিলেন একবার। ২০০৭ সালে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও মাঠ ছেড়েছিলেন লালকার্ড দেখে।
২০১১ থেকে ২০১৩ সালে সেভিয়ার হয়ে খেলার সুবাদে স্পেনের ঘরোয়া ফুটবলে বেশ কয়েকবার মেসির মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছিল মেডেলের। কয়েকটি ম্যাচে আর্জেন্টাইন তারকাকে ‘বোতলবন্দি’ করেও রেখেছিলেন তিনি। এবার ‘পিটবুল’-এর সামনে ফাইনালের চ্যালেঞ্জ।
এবারের কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার পাঁচটি ম্যাচেই খেললেও মাত্র একটি গোল করেছেন মেসি। সেটাও পেনাল্টি থেকে। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের কাছে অবশ্য নিজের গোলের চেয়ে দলের সাফল্য অনেক বেশি মূল্যবান, ‘আশা করি ফাইনালে গোল করতে পারব। তবে আমি গোল করলাম নাকি আমার কোনো সতীর্থ, তা কোনো ব্যাপার নয়। আসল কথা হলো লক্ষ্য পূরণ করা।’