চ্যাম্পিয়নস ট্রফি
ক্রীড়াবিশ্বের প্রথম ‘স্মার্ট’ টুর্নামেন্ট!
চারদিকেই এখন চলছে স্মার্ট জিনিসপত্রের জয়জয়কার। স্মার্টফোন তো এখন সবারই হাতে হাতে। পুরোনো টেলিভিশনের বদলে আসতে শুরু করেছে স্মার্ট টিভি। এবার ক্রীড়াবিশ্বেও আসতে যাচ্ছে ‘স্মার্ট’ টুর্নামেন্ট। প্রযুক্তিগত ব্যবহারের বিচারে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এবারের আসরকে ক্রীড়াবিশ্বের প্রথম ‘স্মার্ট টুর্নামেন্ট’ বলে আখ্যায়িত করেছেন টুর্নামেন্টের ডিরেক্টর স্টিভ এলওর্দি।
আগামী ১ জুন থেকে ইংল্যান্ডে শুরু হতে যাচ্ছে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। যেখানে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে নামবে ক্রিকেটের সেরা আটটি দল। ৫০ ওভারের ক্রিকেটের জনপ্রিয় এই প্রতিযোগিতাকে অনেকেই বিবেচনা করেন ‘মিনি বিশ্বকাপ’ হিসেবে। আর ব্যাট-বলের এই জমজমাট লড়াইয়ে দর্শকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তোলার বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে আয়োজক কমিটি।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির তিন ভেন্যু—ওভাল, এজবাস্টন ও কার্ডিফকে সাজানো হয়েছে অত্যাধুনিক সব ক্যামেরা প্রযুক্তি দিয়ে। স্টাম্পের দুই দিকেই লাগানো থাকবে দুটি ক্যামেরা। যা দিয়ে স্টাম্পের সামনে ও পেছনে, দুই ধরনের দৃশ্যই দেখতে পাওয়া যাবে। এ ছাড়া থাকছে দূর থেকে দেখানোর জন্য হক-আই ক্যামেরা। মাঠের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে আলাদাভাবে দেখানোর জন্য থাকবে প্লেয়ার ট্র্যাকিং ক্যামেরা।
মাঠে খেলা দেখতে আসা দর্শক যেন নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ পান, সে জন্য তিনটি স্টেডিয়ামেই ব্যবস্থা করা হয়েছে ওয়াই-ফাইয়ের। আইসিসির টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর স্টিভ এলওর্দি বলেছেন, ‘বাউন্ডারি লাইনের বাইরে এভাবেই আমরা দর্শকদের সঙ্গে যুক্ত থাকব। এটা হতে যাচ্ছে একটা স্মার্ট টুর্নামেন্ট। প্রযুক্তি কীভাবে দর্শকদের আরো ভালো অভিজ্ঞতা দিতে পারে, সে ব্যাপারে আমাদের নজর থাকবে।’
এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির টিকেট বিক্রির কাজ এরই মধ্যে শেষ করে ফেলেছে আইসিসি। এখন পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৯০ শতাংশ টিকেট। এবারের এই আসর যে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সবচেয়ে ব্যবসাসফল সংস্করণ হবে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই এলওর্দির।