স্বরূপে কোহলি, সহজ জয় ভারতের
যাক, বিরাট কোহলির ফর্ম নিয়ে ভারতের চিন্তাটা কমল। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচেই ফর্মে ফিরলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। আর তাতেই নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখার হুঙ্কার দিয়ে রাখল আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ভারতের জয়ের নায়ক অবশ্য মোহাম্মদ শামি ও ভুবনেশ্বর কুমার। দুই পেসারের পর জ্বলে ওঠেন রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বোলারদের নৈপুণ্যের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৪৫ রানে হারাল ভারত।
লন্ডনের কেনিংটন ওভালে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ শামি ও ভুবনেশ্বর কুমারের বোলিং তোপে মাত্র ১৮৯ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। জবাবে ভারত ২৬ ওভারে ৩ উইকেটে ১২৯ রান করার পর শুরু হয় বৃষ্টি। শেষে ডাকওয়ার্থ/লুইস পদ্ধতিতে কোহলিদের ৪৫ রানে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ফর্মে ফেরার ম্যাচে ৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন বিরাট কোহলি।
রোববার কেনিংটন ওভালে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ১৯০ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। আইপিএলে দুর্দান্ত ব্যাটিং ছন্দে থাকা আজিঙ্কা রাহানে ফেরেন মাত্র ৭ রান করে। এরপর দারুণ খেলতে থাকেন বিরাট কোহলি ও শিখর ধাওয়ান। দ্বিতীয় উইকেটে এ দুজন যোগ করেন ৬৮ রান। এ সময় নিশামের বলে অ্যান্ডারসনকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ধাওয়ান। ৫৯ বলে ৪০ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফিরে জায়গা করে নেওয়া দীনেশ কার্তিক অবশ্য সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি। ৯ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি তিনি। এরপর অবশ্য ধোনি ও কোহলির ব্যাটে ভালোভাবেই জয়ের পথে এগোচ্ছিল ভারত। তবে ২৬ ওভারে ১২৯ রান করার পর বৃষ্টি নামলে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। এরপর প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও মাঠ খেলার উপযুক্ত না হওয়ায় ডাকওয়ার্থ/লুইস পদ্ধতিতে ম্যাচটা জিতে নেয় ভারত। কোহলি ৫২ ও ধোনি ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে কিউইদের শুরুটা ভালো না হলেও একটা সময় ১ উইকেটে ৬৩ রান করে ফেলে দলটি। ব্যাট হাতে ভারতীয় বোলারদের বেশ পেটাতে থাকেন লুক রনকি। তবে এরপরই ভয়ংকর হয়ে ওঠেন শামি। পর পর দুই বলে অধিনায়ক উইলিয়ামসন ও নেইল ব্রুমকে ফিরিয়ে দেন এই পেসার। এরপর ভুবনেশ্বর কুমার ও জাদেজাদের বোলিংয়ের সামনে ১৮৯ রানে শেষ হয় কিউইদের ইনিংস। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন লুক রনকি। এ ছাড়া জিমি নিশাম ৪৬, কোরি অ্যান্ডারস ১৩ ও মিচেল স্যান্টনার করেন ১২ রান।
ভারতের হয়ে ভুবনেশ্বর কুমার ও মোহাম্মদ সামি নেন তিনটি করে উইকেট। এ ছাড়া রবীন্দ্র জাদেজা নেন দুটি উইকেট।