চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে মালিঙ্গা-ম্যাজিকের প্রত্যাশা শ্রীলঙ্কার
কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনে, তিলকারত্নে দিলশানদের মতো কিংবদন্তি চলে গেছেন অবসরে। তাঁদের ছাড়া এবারই প্রথমবারের মতো আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নিতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। তুলনামূলক অনভিজ্ঞ এই দল নিয়ে শিরোপা জয়ের আশা হয়তো খোদ লঙ্কান শিবিরেও নেই। আগে থেকেই নিজেদের আন্ডারডগ ঘোষণা করে দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার কোচ গ্রাহাম ফোর্ড। তারপরও লঙ্কানরা বড় কিছুর স্বপ্ন দেখছে লাসিথ মালিঙ্গার দিকে তাকিয়ে।
শ্রীলঙ্কার বর্তমান ওয়ানডে দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মালিঙ্গা। দলের বোলিং আক্রমণের নেতৃত্বও থাকবে তাঁর কাঁধে। অথচ ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করে এই মালিঙ্গাই ওয়ানডে ম্যাচ খেলেননি বেশ কিছুদিন। ২০১৫ সালের নভেম্বরে মালিঙ্গা শেষবারের মতো খেলেছিলেন ৫০ ওভারের ম্যাচ। তারপরও অভিজ্ঞতার বিচারে তাঁকে দলে ভিড়িয়েছেন শ্রীলঙ্কার নির্বাচকরা। মালিঙ্গাও এই প্রত্যাশার প্রতিদান ভালোমতোই দিতে পারবেন বলে বিশ্বাস লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি থিলাঙ্গা সুমাথিপালার, ‘মালিঙ্গা শারীরিকভাবে উন্নতি করছে। আর আমরা আশা করছি, সে ইংল্যান্ডের প্রতি ম্যাচেই পুরো ১০ ওভার বোলিং করতে পারবে।’
মালিঙ্গা যে দলের বোলিং আক্রমণের অপরিহার্য অংশ, সেটা কয়েক দিন আগে হাতেনাতেই টের পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। গত সপ্তাহে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচে ২৮৭ রান করেও জিততে পারেনি তারা। বলা বাহুল্য, সেই ম্যাচে খেলেননি মালিঙ্গা।
ইংল্যান্ডের পেস সহায়ক কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি পেসার অ্যালান ডোনাল্ডকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। সেই ডোনাল্ড অবশ্য বেশ আশাবাদী দলের পেস আক্রমণ নিয়ে। শিরোপা জয়ের মতো সক্ষমতা এই দলের আছে বলেই মনে করছেন তিনি, ‘শিরোপা জয়ের জন্য যা কিছু থাকা দরকার, তার সবটাই শ্রীলঙ্কান বোলিং আক্রমণে আছে।’