কারাদণ্ড থেকে মুক্তি মিলছে না মেসির
ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ থেকে মুক্তি মিলছে না এ সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির। গত বছর এই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় মেসিকে দেওয়া হয়েছিল ২১ মাসের কারাদণ্ড। পাল্টা আপিলও করেছিলেন মেসি। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। এই ২১ মাসের কারাদণ্ডের রায় বহাল রেখেছেন স্পেনের সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৬ সালের জুলাইয়ে ২১ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল মেসি ও তাঁর বাবাকে। ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে প্রায় ৪ দশমিক ১৬ মিলিয়ন ইউরো ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ মেসির বিরুদ্ধে। ২০১৩ সালে পাঁচ মিলিয়ন ইউরো জরিমানাও দিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট হতে পারেননি স্প্যানিশ আদালত। দেওয়া হয়েছিল কারাদণ্ডের রায়। আপিল করার পর মেসির বাবার শাস্তির মেয়াদ অবশ্য কিছুটা কমেছে। মেসির ২১ মাসের কারাদণ্ডের রায় বহাল থাকলেও তাঁর বাবার শাস্তির মেয়াদ কমিয়ে আনা হয়েছে ১৫ মাসে।
তাহলে কি কারাদণ্ডের পেছনে দুই বছর কাটাতে হবে পাঁচবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারকে? না, কারাগারে অবশ্য সময় কাটাতে হবে না মেসিকে। স্পেনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমবারের মতো অপরাধ করলে এবং শাস্তির মেয়াদ দুই বছরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে জেলের বাইরেই থাকতে পারেন অপরাধী।
গত বছর আদালতে মামলার শুনানির সময় মেসি বলেছিলেন, তিনি অর্থ-সংক্রান্ত সব ব্যবস্থাপনার ভার তাঁর বাবার ওপরেই ছেড়ে দিয়েছেন। আর এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানতেন না। কিন্তু মেসির এই যুক্তি মানতে নারাজ স্পেনের সুপ্রিম কোর্ট। রায় ঘোষণার সময় কোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এটা একেবারেই অযৌক্তিক যে, কেউ বিশাল অঙ্কের টাকা উপার্জন করছে আর সে জানেই না যে তাকে অবশ্যই ট্যাক্স পরিশোধ করতে হবে।’
এ বছর ফুটবল মাঠেও সময়টা ভালো কাটেনি মেসির। চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ার পর লা লিগার শিরোপাটাও ঘরে তুলতে পারেনি তাঁর দল বার্সেলোনা। সেই শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার এই কারাদণ্ডের ঝামেলায় পড়তে হলো মেসিকে।