পাকিস্তানের সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ বিসিবির
দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে আগামী জুলাইতে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু হঠাৎ করেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ঘোষণা দিয়েছে, এ সফরে আসতে রাজি নয় তারা। আগামী বছর যেকোনো একসময়ে এ সিরিজ খেলার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করবে তারা।
পিসিবির এ সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করেছে বিসিবি। বিসিবির পরিচালক জালাল ইউনুস এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো চিঠি পাইনি। তবে খবরটা শুনেছি। এটি আমাদের কাছে খুব হতাশার। দুদিন আগেও জনতাম, তারা আসবে, এখন শুনছি আসবে না।’
পিসিবির এ সিদ্ধান্তে কিছুটা অবাক হয়ে এই বিসিবি পরিচালক বলেন, ‘এফটিপি অনুযায়ী এখন তাদেরই বাংলাদেশে আসার কথা। তা ছাড়া পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি হয়েছে, এই ২০১৭ পর্যন্ত তারা বাংলাদেশে সিরিজ খেলবে। আর আর্থিক বিষয়গুলোরও সমাধান হয়েছে সে সময়।’
বাংলাদেশে না আসার কারণ সম্পর্কে পাকিস্তান জানিয়েছে, পাকিস্তান দুবার বাংলাদেশ সফর করলেও বাংলাদেশ ২০০৮ সালের পর থেকে পাকিস্তানে খেলতে আসেনি। তাই আপাতত এখন বাংলাদেশ সফর করতে ইচ্ছুক নয় তারা।
এ ব্যাপারে পিসিবি সভাপতি শাহরিয়ার খান বলেন, ‘এবার বাংলাদেশকে পাকিস্তানে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি আমরা। কিন্তু তারা আসতে রাজি নয়, তাই টানা তৃতীয়বার বাংলাদেশ সফর করা ঠিক হবে না আমাদের।’
সর্বশেষ ২০০৭-০৮ মৌসুমে পাকিস্তান সফরে যায় বাংলাদেশ। সেবার পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। এরপর ২০১১ ও ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফর করে পাকিস্তান। পাকিস্তান বাংলাদেশকে সিরিজ খেলতে আমন্ত্রণ জানালেও নিরাপত্তাজনিত কারণে সিরিজগুলো খেলতে রাজি হয়নি বিসিবি। তাই বিসিবির কাছ থেকে তিন লাখ ২৫ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণও পেয়েছে পাকিস্তান।
আগামী জুনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর পাকিস্তানে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে বিসিবিকে প্রস্তাব দেয় পিসিবি। তবে দেশটির নিরাপত্তাব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় পিসিবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় বাংলাদেশ। অবশ্য নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ম্যাচ হলে পাকিস্তানের প্রস্তাব ভেবে দেখার কথা জানায় বিসিবি। এই সিরিজের জন্য পাকিস্তানের ক্ষতিপূরণ দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশ সফর বাতিল করল পাকিস্তান।