মেসির জোড়া গোলে বার্সার রিয়াল-বধ
জুভেন্টাসের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় বার্সেলোনা। এর পর চারদিকে ভেসে আসতে থাকে সমালোচনা। তবে কি টিকিটাকার যুগ শেষ? মেসি কি হারিয়ে ফেললেন তাঁর ম্যাজিক? ফুটবলবিশ্বে বার্সা কি তার জৌলুস হারিয়ে ফেলছে? এমনই হাজার প্রশ্ন আসছিল। তবে এক ম্যাচেই সব প্রশ্নের জবাব দিয়ে দিল বার্সেলোনা। রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রোনালদোর দলকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। বার্সাকে লা লিগার লড়াইয়ে ফেরানোর ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন লিওনেল মেসি।
স্প্যানিশ লিগের শিরোপা লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে রিয়ালের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না বার্সেলোনার সামনে। জিততেই হবে—এমন সমীকরণ নিয়েই সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে যায় বার্সেলোনা। মেসির জোড়া গোল আর ইভান রেকিটিচের গোলে রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-২ গোলে হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থানটা দখল করল বার্সেলোনা। এ মুহূর্তে বার্সেলোনা এক ম্যাচ পিছিয়ে থাকলেও লা লিগা যে জমে উঠেছে, সেটা হয়তো না বললেও চলে।
ঘরের মাঠে শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ। রোনালদো-বেল-বেনজমা সমন্বয়ে বিবিসি চেপে ধরে বার্সার আক্রমণভাগকে। প্রথম ২০ মিনিটেই সহজ দুটি গোলের সুযোগ মিস করেন রোনালদো। তবে ২৮তম মিনিটে ক্যাসেমিরোর গোলে লিড পায় রিয়াল। কর্নার কিক থেকে পাওয়া মার্সেলো বল বাড়ান রামোসের উদ্দেশে। রামোসের শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি শটে বার্সার জাল কাঁপান ব্রাজিল তারকা। তবে পাঁচ মিনিট পরই সমতায় ফেরে বার্সেলোনা। রেকিটিচের বলে কারভাহালকে ফাঁকি দিয়ে সহজেই রিয়ালের জালে বল জড়ান মেসি।
বিরতির পর প্রথম সুযোগটা কাজে লাগায় রিয়াল। ৪৯ মিনিটে টনি ক্রুসের দারুণ শট রুখে দেন টার স্টেগান। পাল্টা জবাব দেয় বার্সেলোনাও। পিকের হেড কোনোমতে ঠেকান কেইলর নাভাস। বেনজমাও সুযোগ নষ্ট করেন। রোনালদোর শট চলে যায় গোলবারের ওপর দিয়ে। এ সুযোগেই ম্যাচে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ৭৩তম মিনিটে রেকিটিচের গোলে লিড নেয় কাতালান ক্লাবটি। এর মধ্যে মেসিকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন রামোস। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ৫ মিনিট আগে হামেস রদ্রিগেজের গোলে সমতায় ফেরে রিয়াল। বহুল আলোচিত এল ক্ল্যাসিকো তখন ড্রয়ের পথে, তবে যোগ করা সময়ে দারুণ আরেক গোল করে বার্সাকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন মেসি। এই গোল দিয়েই ৫০০তম গোলের মাইলফলক গড়েন মেসি। ৩৩ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে বার্সা। আর এক ম্যাচ কম খেলে সমান পয়েন্টে দ্বিতীয় স্থানে রিয়াল মাদ্রিদ।