চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বার্সেলোনার বিদায়
রূপকথা তো প্রতিদিন হয় না। আর পিএসজি নয়, জুভেন্টাস। ফরাসি ক্লাব পিএসজিকে সহজেই দুমড়েমুচড়ে দেওয়া সম্ভব হলেও জুভদের রক্ষণ অতটাও ঠুনকো নয় যে মেসি-নেইমাররা চাইলেই সেটা ভাঙতে পারেন। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দলটির রক্ষণব্যুহ ভাঙতে পারেনি বার্সেলোনা। তাই তো অলৌকিক কিছু আর হলো না। ন্যু ক্যাম্পে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগটা গোলশূন্যভাবে ড্র হয়েছে। শেষ পর্যন্ত প্রথম লেগে ৩-০ গোলে এগিয়ে থাকায় বার্সেলোনাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠল তুরিনের ওল্ড লেডি খ্যাত জুভেন্টাস।
ঘরের মাঠ বলেই সম্ভাবনা কিছুটা টিকে ছিল বার্সেলোনার। তবে গোলপোস্টের নিচে বুফনের বিশ্বস্ত হাতজোড়াকে ফাঁকি দেওয়াটা কি অত সহজ? সিরি-আতে এই মৌসুমে ৩১ ম্যাচে মাত্র ২০ গোল হজম করেছেন বুফন। চ্যাম্পিয়নস লিগে জুভদের জালে মাত্র দুটি গোল দিতে পেরেছে প্রতিপক্ষ দল। তবে ওই যে, ম্যাচটি ছিল বার্সার মাটিতে। আর প্রতিপক্ষ দলে নেইমার-সুয়ারেজে-মেসির মতো বিশ্ব তারকারা। তবে বুফনকে ফাঁকি দিতে পারেননি এঁদের কেউই। তাঁর গাল গলিয়ে জুভেন্টান্সের জাল কাঁপানো সম্ভব হয়নি।
ন্যু ক্যাম্পে শুরু থেকেই ফেভারিটের মতো খেলেছে জুভেন্টাস। প্রথম কয়েক মিনিটের মধ্যে গঞ্জালো হিগুয়াইন ও হুয়ান কুয়াদ্রাদোর শট লক্ষ্যভ্রষ্ট না হলে গোলই হজম করতে হতো বার্সেলোনাকে। অবশেষে ম্যাচের ১৯তম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় বার্সা। মেসির দেওয়া বলে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন জর্দি আলবা। এর পরের মিনিটে মেসির শট গোলপোস্ট ঘেঁষে চলে যায়। এরপর প্রথমার্ধে বুফন বেশ কয়েকবার বাধা হয়ে দাঁড়ান স্বাগতিকদের সামনে।
দ্বিতীয়ার্ধটাও জুভদের। বল দখলের নয়, গোল বাঁচানোর লড়াইয়ে। প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও ৬০ শতাংশের বেশি বল দখলে রাখেন মেসি-নেইমাররা। তবে নিজেদের রক্ষণটা ভালোভাবেই সামলিয়েছেন আন্দ্রে বারজাগলি, লিওনার্দো বুনোচ্চি ও জর্জ কিয়েল্লিনিরা। বার্সার প্রতিটি আক্রমণ এই ত্রয়ীর সামনে এসে শেষ হয়েছে। পুরো ম্যাচে একটিও গোল করতে পারেনি বার্সেলোনা।