কলম্বোয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে হারে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের ‘মৃত্যু’ ঘোষণা করেছিলেন দেশটির এক সংবাদ মাধ্যম। দ্য আইল্যান্ড লিখেছিল, ‘আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে স্মরণ করছি শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটকে। ২০১৭ সালের ১৯ মার্চ দি ওভাল-এর মৃত্যু হয়েছে। তাই সব শুভানুধ্যায়ী গভীরভাবে শোকাহত। এই মৃতদেহ দাহ করা হবে এবং ছাই নিয়ে যাওয়া হবে বাংলাদেশে।’

সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেও বাংলাদেশের কাছে লঙ্কান দলটির হারে ব্যাপক সমালোচনা করেছে দেশটির মিডিয়া। দেশটির ইংরেজি দৈনিক দ্য আইল্যান্ড তাদের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই হারকে ‘যন্ত্রণাদায়ক’ হার বলে আখ্যা দিয়েছে।

সেখানে তারা লিখেছে, ‘আমাদের দলটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এটা ঠিক। তবে বিশ্বের এক নম্বর দলের বিপক্ষে প্রতিকূল কন্ডিশনে খেলে হারলেও তা মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু  নবীন টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে এই হার মোটেও মেনে নেওয়ার মতো নয়।’

ওয়ানডের এই হারের পেছনে বাজে ফিল্ডিং সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে দাবি করে তারা, ‘এক সময় শ্রীলঙ্কা ছিল বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিল্ডিং দল। তখন অস্ট্রেলিয়া অথবা দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে তুলনা করা হতো। কিন্তু এখন তুলনা চলে কেবল পাকিস্তানের সঙ্গে।’

অবশ্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে লঙ্কন দৈনিক আইল্যান্ড, ‘এটা মানতেই হবে বাংলাদেশের বর্তমান দলটি খুবই ভালো ক্রিকেট খেলছে। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অধীনে দলটি বেশ উন্নতি করেছে, যাকে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড চাকরি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল।’