পর্তুগিজ বর্ষসেরা রোনালদো
২০১৬ সালটা স্বপ্নের মতো কাটিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। রিয়ালকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানোর পাশাপাশি পর্তুগালকে জিতিয়েছেন ইউরো কাপের শিরোপা। তাই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসিকে হারিয়ে ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারে খেতাব জেতেছেন। এটাই শেষ নয়, এবার পর্তুগালের বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার ‘প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ ২০১৬ জিতে নিলেন রিয়াল তারকা। এই পুরস্কার জিততে সিআরসেভেন পেছনে ফেলেছেন সতীর্থ পেপে ও গোলরক্ষক রুই প্যাট্রিসিওকে। আজ সোমবার কুইনাস ডি আওরো গালাতে দেশের বর্ষসেরার খেতাবটা উঠেছে রোনালদোর হাতে।
গেল বছরটা যেন কেবল রোনালদোরই ছিল। লিওনেল মেসির কাছে ব্যালন ডি'অর খেতাব হারিয়েই শুরুটা করেন তিনি। তবে মৌসুমের শেষে বার্সেলোনার কাছে লা লিগার শিরোপা হারলেও রোনালদোর গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে একাদশতমবারের মতো শিরোপা জিতে রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর সুযোগ আসে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দেশকে কিছু উপহার দেওয়ার। তাতেও পর্তুগালকে হতাশ করেননি রোনালদো। পতুর্গিজ এই সেনাপতির কারণে প্রথমবারের মতো বড় কোনো টুর্নামেন্টে শিরোপা স্বাদ পায় তার দেশ। বছর শেষে মেসির কাছ থেকে ব্যালন ডি'অর খেতাবটা কেড়ে নেন সিআরসেভেন। এবার জিতলেন দেশের হয়ে সেরা ফুটবলারের খেতাব।
দেশ সেরা হওয়ার পর উচ্ছসিত রোনালদো বলেন, ‘এটা দারুণ একটা বছর ছিল। ইউরো শিরোপা জেতাটা ছিল বিশেষ কিছু। এটাই একমাত্র ট্রফি ছিল যেটা মনে প্রাণে জিততে চেয়েছিলাম আমি।’ খেতাব জিতলেও ট্রফিটা পতুর্গিজ সমর্থকদের উৎসর্গ করেন রোনালদো। তিনি বলেন, ‘এই ট্রফিটা পর্তুগালের সমর্থকদের জন্য। কারণ আমাদের ওপর শেষ পর্যন্ত ভরসা রেখেছিলেন তারা।’ বায়ার্ন মিউনিখের পর্তুগিজ ফুটবলার রেনাতো সানচেজ বর্ষসেরা তরুণ ফুটবলারের খেতাব জিতেছেন। আর জাতীয় দলের কোচ ফার্নান্দো সান্তোস জিতেছেন বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার।