সেই রাম নেই, তাই সেই রাজত্বও নেই। মহেন্দ্র সিং ধোনি এখন আর দশজনের মতোই সাধারণ মানুষ। কিছুদিন আগেই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন। এরপর আইপিএলের দল পুনে সানরাইজার্সও তাঁর কাছ থেকে অধিনায়কত্ব কেড়ে নিয়েছে। ধোনিকে এরপর যদি ভারতীয় দল থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয় তাহলেও অবাক হবার কিছু থাকবে না।  অনেকটা জিদ করেই হয়তো রাজ্য দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারতের সর্বকালের সেরা এই অধিনায়ক।

কয়েকদিন আগেই ঝাড়খণ্ডের হয়ে বিজয় হাজারে ট্রফির ম্যাচ খেলতে ট্রেনে চড়ে কলকাতায় এসেছিলেন ধোনি। ১৩ বছর পর এটি ছিল ক্যাপ্টেন কুলের প্রথম ট্রেন যাত্রা। সারা পথ সতীর্থদের ট্রেনের গল্প শুনিয়েছেন ধোনি।

কলকাতায় এসে দেখা হয়ে গেল পুরোনো এক বন্ধুর সঙ্গে। চায়ের দোকানদার সেই বন্ধুকে দেখেই চিনতে পারেন ধোনি। সঙ্গে সঙ্গে বুকে জড়িয়ে ধরেন তাঁকে। সেই বন্ধুর সঙ্গে রাতের খাবারও খেয়েছেন তিনি। কে ধোনির সেই চায়ের দোকানদার বন্ধু? ধোনির বায়োপিক 'ধোনি দ্য আনটোল্ড স্টোরি' থেকে ইতিমধ্যে অনেকেই জেনে গেছেন যে, একটা সময় খড়গপুরে রেলের টিটির চাকরি করতেন তিনি। প্রায় প্রতিদিনই আড্ডা দিতেন এক চায়ের দোকানে।

এই সময় চায়ের দোকানদার টমাসের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে ধোনির। অনেক ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায় তাঁদের। এরপর জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ায় ট্রেনের চাকরি ছেড়ে দেন ধোনি। চোখের আড়াল হয়ে যান টমাস। তবে মনের আড়াল যে হননি সেটা বোঝা গেল ধোনি কলকাতা আসার পর। বিজয় হাজারে ট্রফির ম্যাচ খেলার সময় ইডেন গার্ডেনের বাইরে টমাসকে দেখেন ধোনি। চিনতে দেরি হয়নি। এরপর টমাসকে নিয়ে হোটেলে ফিরেন। সেই রাতে এক সঙ্গে ডিনার সেরেছেন দুজন আর এরই ফাঁকে রোমন্থন করেছেন খড়গপুরের সেই দিনগুলোর কথা।