জয়েও ফুটে উঠল বার্সেলোনার দুর্দশা
লা লিগায় নিচের সারির দল লেগানেসের বিপক্ষে জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। কিন্তু ম্যাচের ফল দিয়ে বোঝা যাবে না স্পেনের অন্যতম সেরা এই ক্লাবটির দুর্দশার কথা। ২-১ গোলের জয় দিয়ে শেষ পর্যন্ত তিনটি মূল্যবান পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারলেও বার্সেলোনার দুর্বল পারফরম্যান্স নিয়ে নতুন করে সমালোচনা শুরু হয়েছে ইউরোপিয়ান ফুটবল অঙ্গনে।
গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের বিপক্ষে ৪-০ গোলে হেরেছিল বার্সা। কাতালানরা শেষ কবে এত বাজে নৈপুণ্য দেখিয়েছিল, তা নিয়ে শুরু হয়েছিল কাটাছেঁড়া। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আরো একবার ফুটে উঠল বার্সেলোনার দুর্দশা।
লা লিগায় লেগানেস আছে পয়েন্ট তালিকায় ১৭ নম্বর স্থানে। গত ১৩টি ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি তারা। সেই নিচের সারির দলটির বিপক্ষেও পয়েন্ট হারাতে বসেছিল বার্সেলোনা। শেষমেশ তারা জয় পেয়েছে ম্যাচের একেবারে শেষ পর্যায়ে লিওনেল মেসির পেনাল্টি থেকে। গোল করেও কোনো উল্লাস করতে দেখা যায়নি আর্জেন্টাইন তারকাকে। প্রায় পুরো ম্যাচেই বার্সা সমর্থকদের দুয়োধ্বনি শুনতে হয়েছে মেসি-নেইমার-সুয়ারেজদের।
ন্যু ক্যাম্পে বার্সা অবশ্য এগিয়ে গিয়েছিল ম্যাচের শুরুতেই। চার মিনিটের মাথায় গোল করেছিলেন মেসি। কিন্তু এর পর দীর্ঘ সময় আর একটিও গোল করতে পারেননি বার্সার তারকা ফরোয়ার্ডরা; বরং ৭১ মিনিটের মাথায় বার্সেলোনার জালে বল জড়িয়ে খেলায় সমতা ফিরিয়েছিল লেগানেস। ৮৯ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচে ছিল এই ১-১ গোলের সমতা। পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হবে বার্সাকে, এমনটাই হয়তো ধরে নিয়েছিলেন অনেকে। তবে শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি পেয়ে যাওয়ায় রক্ষা পেয়েছে গতবারের শিরোপাজয়ীরা। পেনাল্টি থেকে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল হয়নি মেসির। কিন্তু লেগানেসের মতো দলের বিপক্ষে এভাবে জয় পেয়ে যে আর্জেন্টাইন তারকা মোটেও খুশি হতে পারেননি, সেটা স্পষ্টই বোঝা গেছে। গোল করার পর কোনোরকম উদযাপনে মেতে উঠতে দেখা যায়নি মেসিকে।
অনেক কষ্ট করে পেলেও লেগানেসের বিপক্ষে এই জয় দিয়ে লা লিগার শিরোপা জয়ের আশা টিকিয়ে রেখেছে বার্সেলোনা। সেভিয়াকে টপকে তারা চলে এসেছে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। ২৩ ম্যাচ শেষে বার্সার সংগ্রহ ৫১ পয়েন্ট। আর দুই ম্যাচ কম খেলে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ।