নিউজিল্যান্ড সফরটা মোটেও ভালো যায়নি বাংলাদেশের। তামিম-সাকিবরা সফরের আটটি ম্যাচের প্রতিটিতেই হেরেছেন। আজ সোমবার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে কিউইদের কাছে বাংলাদেশের হারটা ৯ উইকেটের। এই ম্যাচ দিয়েই ক্লান্তির সফরটা শেষ করল বাংলাদেশ।

ম্যাচে হারলেও আজ দারুণ এক রান আউট করেছেন বাংলাদেশ দলের উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের ৯৩তম ওভারে চতুর্থ বল। সাকিবের বলটা লেগ সাইডে ফ্লিক করেই রানের জন্য দৌড়ালেন নেইল ওয়াগনার ও ট্রেন্ট বোল্ট। প্রথম রান শেষ করে দ্বিতীয় রানের জন্য দৌড়ালেন তাঁরা। মোটামুটি দৌড়িয়েই ২ রান সম্পন্ন করেন তাঁরা। এদিকে স্কয়ার লেগ থেকে জোরের ওপর থ্রো করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নুরুল হাসান সোহান তখন উইকেট থেকে বেশ খানিকটা দূরে। মিরাজের দেওয়া বল গ্লাভসবন্দি না করেই উইকেটে দিকে ছুঁড়ে মারেন তিনি। বল গিয়ে লাগে স্টাম্পে।

রিপ্লেতে দেখা যায়, ওয়াগনারের ব্যাট আগে মাটি ছুঁলেও বল স্টাম্পে লাগার সময় তার ব্যাট হাওয়ায় ভাসছিল। ফলে ওয়াগনারকে আউট ঘোষণা করেন আম্পায়ার। আউট হওয়ার পর ওয়াগনারের অভিব্যক্তি দেখেই বোঝা যাচ্ছিল আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি নন তিনি। তবে ক্রিকেট আইনে বলা হয়েছে, ‘রান আউটের ক্ষেত্রে কোনো ব্যাটসম্যান যদি দৌড়ানো অবস্থায় থাকে তাহলে বল স্টাম্পে লাগার আগে পপিং ক্রিজে ব্যাট স্পর্শ করতে হবে তাঁকে।’ ওয়াগনারের ব্যাট আগে মাটি স্পর্শ করলেও বল স্টাম্পে লাগার সময় হাওয়ায় ভাসছিল। আর এই কারণেই তাঁকে আউট ঘোষণা করেন আম্পায়ার।

এবারই প্রথম নয়, ২০১৫ সালে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও একই ধরনের একটি রায় বাংলাদেশের পক্ষে যায়। সেবার ক্রিস জর্ডান রান আউটের শিকার হয়েছিলেন ঠিক এভাবেই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ১৫ রানে জয় পায় বাংলাদেশ।